ইন্টারন্যাশনাল জেস্ক:
সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রধানমন্ত্রী ও দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের বিরুদ্ধে নিজের কন্যাদের অপহরণ, জোর করে ধরে নিয়ে যাওয়া, মারধর ও প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিসহ যেসব অভিযোগ এনেছেন তার সাবেক স্ত্রী তা সত্য বলে অভিহিত করেছে ব্রিটিশ হাইকোর্ট।
দুবাই থেকে পালিয়ে আসা শাসকের সাবেক স্ত্রী প্রিন্সেস হায়া বিনতে আল-হুসেনের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে মর্মে আজ ৬ মার্চ ব্রিটিশ হাইকোর্ট এ রায় দেয়,।
সংবাদ মাধ্যম বিবিসি জানায়, আট মাস আগে ব্রিটিশ হাইকোর্টে এ মামলার কার্যক্রম শুরু হয়। প্রিন্সেস হায়া সেসময় বন্ধুদের কাছে তার জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন।
এ রায় যেন জনসমক্ষে প্রকাশ না হয়, সে চেষ্টা করেছিলেন দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ। কিন্তু তার আপিল খারিজ করে দেয় আদালত। জনস্বার্থে হওয়া এ মামলার রায়ে আদালত বলে, দুবাইয়ের শাসক খোলামেলা ও সৎ নয়, তা প্রমাণিত হয়েছে।
এদিকে, এ রায় প্রকাশের পর এক বিবৃতিতে শেখ মোহাম্মদ বলেন, সরকার প্রধান হিসেবে ব্যস্ততার কারণে আদালতের তথ্য অনুসন্ধানী প্রক্রিয়ায় আমি অংশ নিতে পারিনি। তাই রায় একপেশে হয়েছে। এই মামলাটি তার একান্ত ব্যক্তিগত বলে অবহিত করেছেন।
রায়ে আদালত জানায়, দুবাই শাসক নিজের দুই মেয়েকে অপহরণ ও জোর করে দুবাই ফিরিয়ে নেয়ার অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
তার এক মেয়ে শেখা শামসা ২০০০ সালে ব্রিটেনের সারি কাউন্টির পারিবারিক বাসভবন থেকে পালিয়ে যান। পরে শেখের লোকজন তাকে ক্যামব্রিজ শায়ার থেকে অপহরণ করে দেশে নিয়ে যায়।
অপর মেয়ে শেখ লতিফা ২০০২ সালে বাড়ি থেকে পালানোর চেষ্টা করেও সফল হতে পারেননি। ২০১৮ সালে আবারও পালিয়ে গেলে ভারতীয় সমুদ্র উপকূলের কাছে শেখের লোকজনের হাতে ধরা পড়েন। লতিফা বাবার নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে যে ভিডিও বার্তা ছেড়েছিলেন, সেটিকে বিশ্বাসযোগ্য বলেও রায় দিয়েছে আদালত ।
দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের বিরুদ্ধে ব্রিটিশ আদালতের আজ যে রায় দিয়েছে তাকে স্বাগত জানিয়েছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা।