আর্ন্তাতিক ডেস্ক : ক্রমহ্রাসমান বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ঠেকাতে ইসলামাবাদ ইতোমধ্যে বিকল্প উপায় খুঁজছে। সৌদি আরবের ২ বিলিয়ন ডলার ঋণ পরিশোধে অতিরিক্ত সময় পাচ্ছে না পাকিস্তান। পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২ বিলিয়ন ডলার অর্থ পরিশোধে আরও এক বছর সময় চেয়ে সৌদি আরবের কাছে আনুষ্ঠানিক আবেদন করেছিল পাকিস্তান। গত সোমবার পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সেই আবেদন এখনো ঝুলে আছে। সৌদির পক্ষ থেকে কোনো কিছু জানানো হয়নি।
কর্তৃপক্ষ বলছে, আনুষ্ঠানিকভাবে যখন আবেদন করা হয় তখন একটা সম্ভাবনা ছিলো যে রিয়াদ আরও সময় বাড়াবে। কিন্তু এখনো রিয়াদের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি। সে সম্ভাবনাও তেমন নেই। তাই ভঙ্গুর অর্থনীতিকে বাঁচাতে বিকল্প পথ খুঁজছে ইসলামাবাদ।
এ ব্যাপারে পাকিস্তানের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘বিষয়টি দ্বিপাক্ষিক বিশ্বস্ততার ব্যাপার। তাই দয়া করে এ ব্যাপারে আলোচনা বাদ দিন।’ অন্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সময় বাড়ানোর আবেদনের বিষয়ে সৌদি কর্মকর্তারা আপাতত চুপ রয়েছে।
গোপন কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, পাকিস্তানকে ওই অর্থ ভিন্ন কোনো উপায়ে সংগ্রহ করতে বলেছে সৌদি আরব। ২০১৮ সালের অক্টোবরে পাকিস্তানকে তিন বছরের জন্য ৬ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের আর্থিক প্যাকেজ সরবরাহ করতে রাজি হয় সৌদি আরব। এর মধ্যে ছিল ৩ বিলিয়ন ডলার নগদ অর্থ এবং বার্ষিক ৩ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের গ্যাস এবং তেল সরবরাহের প্রতিশ্রুতি।
নগদ তিন বিলিয়ন ডলারের ঋণের প্যাকেজটি চুক্তির এক বছরের মধ্যে পরিশোধ করার কথা ছিলো পাকিস্তানের। চুক্তি অনুযায়ী, সৌদি আরবের এই ঋণের বিপরীতে তিন শতাংশ সুদ পরিশোধ করছে পাকিস্তান। চার মাস আগে নগদ ৩ বিলিয়ন ডলারের ১ বিলিয়ন ডলার সৌদিকে ফেরত দিয়েছে ইমরান খান সরকার। তার পর গত দুই মাস হলো ওই ব্যবস্থার মেয়াদ শেষ হয়েছে। এখন নতুন করে আর সময় দিচ্ছে না সৌদি সরকার।
সান নিউজ/পিডিকে