আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রথমবারের মত ইন্টারপোলের সাহায্যে সন্দেহভাজন মানব পাচারকারীদের তথ্যের সঙ্গে শেয়ার করেছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার বাংলাদেশের এক শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা এই তথ্য জানান। অভিভাসন প্রত্যাসীদের অপহরণ এবং হত্যা বন্ধে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
চলতি সপ্তাহে বাংলাদেশের প্রথম মানব পাচারকারী হিসেবে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থার (মোন্ট ওয়ান্টেড) পলাতক হিসেবে রেড নোটিশে মিন্টু মিয়ার নাম তালিকাভুক্ত হয়েছে। সৈয়েদা জান্নাত আরা, স্পেশাল সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ বলেন, ৬ জন পাচারকারীর মধ্যে তিনি প্রথম যাকে বাংলাদেশ ইন্টারপোলে অন্তর্ভুক্ত করতে বলেছে।
থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেসনকে সৈয়েদা জান্নাত বলেন, এসব পাচারকারী বাংলাদেশের লোকদের সঙ্গে ছলচাতুরী করে অর্থ নেয় এই বলে যে তারা তাদের বিদেশে চাকরি দিবে। এরপর তারা এদের লিবিয়ায় জিম্মি করে রাখে এবং টাকার জন্য তাদের ওপর অত্যাচার করে।
ইন্টারপোলে তাদের তথ্য রাখার মানে তাদের চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকবে কেননা তারা 'ওয়ান্টেড' তালিকায়। তারা যে দেশেই যাক না কেন। বর্তমানে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ তালিকায় ৭০ জন বাংলাদেশির নাম।
বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম জনশক্তি রপ্তানিকারক দেশ হওয়ায় পাচারের ঝুঁকিতে রয়েছে। প্রতি বছর প্রায় ৭ লাখ কর্মী চাকরির জন্য বিদেশে যায়। বাংলাদেশ পাচার রোধে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। বাংলাদেশের স্থানীয় পুলিশ একে জোরালো অপারেশন হিসেবে উল্লেখ করেছে।
গত জুনে বাংলাদেশ পুলিশ অন্তত ৫০ জনকে গ্রেফতার করে। এসব অভিযুক্ত ব্যক্তি বিদেশে চাকরি দেওয়ার কথা বলে মানুষের কাছে অর্থ নেয়। লিবিয়ায় ২৪ বাংলাদেশি অভিবাসীকে হত্যার পরেই বাংলাদেশ এমন গ্রেফতার অভিযান চালায়।
সান নিউজ/এসএ/এস