আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
সিরিয়ার ইদলিবে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হয়ে যুদ্ধ বন্ধের ঘোষণা দিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান।
৫ মার্চ বৃহস্পতিবার রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে ইদলিবে চলমান যুদ্ধ নিয়ে দু’দেশের প্রেসিডেন্ট পর্যায়ে ছয় ঘণ্টাব্যাপী এক বৈঠকের পর এ ঘোষণা আসে। এদিন মধ্যরাত থেকেই ওই সামরিক চুক্তি কার্যকর হয়।
সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের দখলে থাকা শেষ প্রদেশ হচ্ছে ইদলিব। সম্প্রতি সেখান তুরস্ক ও সিরিয়া সরকারের মধ্যে তীব্র সংঘাত দেখা দিয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছরের ডিসেম্বর থেকে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অন্যতম মিত্র রাশিয়ার সহায়তায় ইদলিবে অভিযান শুরু করে সিরিয়ার বাশার আলা-আসাদ সরকার। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে হিজবুল্লাহর মত ইরানপন্থী সশস্ত্র দলগুলো। এতে কোনঠাসা হয়ে পড়ে তুর্কিপন্থী বিদ্রোহীরা। একইসঙ্গে সৃষ্টি হয় তীব্র মানবিক পরিস্থিতি।
নয় বছর মেয়াদী এই যুদ্ধে লাখ লাখ সিরীয় সীমান্ত পার করে তুরস্কে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিয়েছে। সাম্প্রতিক তীব্র সংঘাতে ফের শরণার্থীর ঢল জমছে তুরস্কের সীমান্তে। এই ঢল থামাতে ও বিদ্রোহীদের সমর্থন দিতে ইদলিবে সেনা পাঠায় তুরস্ক। কিন্তু সিরিয়ার সেনাদের হাতে বিভিন্ন হামলায় প্রাণ হারায় তুরস্কের অন্তত ৫৪ সেনা।
এরপর থেকেই সেখানে সিরিয়া ও রাশিয়ার সঙ্গে প্রায়ই সংঘাত হচ্ছে তুরস্কের। অবস্থা বেগতিক মোড় নিয়েছে সম্প্রতি। এমন অবস্থায়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মস্কো সফর করেন এরদোয়ান। সেখানে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক হয় তার।
বৈঠক শেষে পুতিন বলেন, আমি প্রত্যাশা করি আমাদের মধ্যকার এ চুক্তি ইদলিবে সামরিক সংঘাতের সমাপ্তি টানবে। এই চুক্তি ইদলিবের সংঘাতমুক্ত হিসেবে ঘোষিত অঞ্চলগুলোয় সামরিক তৎপরতা রোধে কাজ করবে এবং সেখানকার শান্তিপূর্ণ জনগণের দুর্দশা ও মানবিক পরিস্থিতি উন্নতি করবে।
এরদোগান জানান, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে চুক্তিটি কার্যকর হবে। আমরা একসঙ্গে সিরীয়দের কাছে প্রয়োজনীয় ত্রাণ সরবরাহ করতে কাজ করবো।
তিনি আরও বলেন, ময়দানে সিরিয়া সরকারের সকল হামলার জবাব দেয়ার অধিকার রয়েছে তুরস্কের। খবর: রয়টার্স।
সান নিউজ/সালি