ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
করোনার প্রকোপে এবার বাধা পড়ছে পর্যটনেও। দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারত, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানেও এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে। ভারতে এরই মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ ছাড়িয়েছে। প্রাণঘাতী এই ভাইরাস থেকে বাঁচতে চেষ্টার কোনও কমতি রাখছে না কেন্দ্র সরকার। পরিস্থিতি বিবেচনায় ভারতের পর্যটন রাজ্য সিকিমে ভ্রমণের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে দেশটির সরকার।
বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) দেওয়া এক বিবৃতির মাধ্যমে সিকিম কর্তৃপক্ষ এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি জানিয়েছে।
সিকিম কর্তৃপক্ষ জানায়, করোনাভাইরাস দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ছে। পর্যটন এলাকা হিসেবে সিকিমেও এই ভাইরাস ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। এ কারণে করোনার বিস্তার ঠেকাতে রাজ্যটিতে ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তারা। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কোনো বিদেশি নাগরিক এখন থেকে সিকিম ভ্রমণ করতে পারবেন না।
করোনা থেকে বাঁচতে ইতিমধ্যেই বিদেশ সফর বাতিল করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় করোনা ভাইরাস নিয়ে আলোচনার সময় দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন। তিনি বলেন, “আমি নিজে এই পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি। মন্ত্রিসভার বাকি সদস্যরাও প্রতিদিন পরিস্থিতির নজরদারি করে চলেছেন।”
এদিকে ভারতের ২১টি বিমানবন্দরে এখনও প্রায় ছ’লক্ষেরও বেশি যাত্রীকে বিমানবন্দরে স্ক্রিনিং করা হয়েছে। আগে ১২টি দেশের যাত্রীদের ভারতে প্রবেশের আগে স্ক্রিনিং করলেও এখন প্রতিটি দেশের যাত্রীদের প্রবেশের সময়েও স্ক্রিনিং করার নির্দেশ জারি করা হয়েছে। যাদের শরীরে করোনা বাসা বেঁধেছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে, তাদের কোয়ারেন্টাইনে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। অন্যদিকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ থেকে সতর্ক থাকার কারণে হোলি খেলবেন না বলে বুধবারই জানিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একই কারণে রাষ্ট্রপতি ভবনেও বাতিল করা হয়েছে হোলি অনুষ্ঠান। বুধবার সে কথা জানান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দও।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৩২৮৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৯৫ হাজার মানুষ।