আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষে এখন চলছে ভোট গণনা। মিয়ানমারে ৩ কোটি ৭০ লাখের বেশি নিবন্ধিত ভোটার। দেশটিতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়লেও প্রচুর মানুষ ভোট কেন্দ্রে গিয়েছিলেন।
রোববার ৮ নভেম্বর সারাদেশে একযোগে শুরু হয় ভোট গ্রহণ। মিয়ানমার সেনাবাহিনী কর্তৃক রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে বিশ্বব্যাপী অভিযুক্ত অং সান সু চির দল এবারের নির্বাচনেও ক্ষমতায় আসছে বলে বিভিন্ন সংস্থার জরিপে উঠে এসেছে। খবর এএফপির।
এক সময়ের নোবেল বিজয়ী শান্তিকন্যা রোহিঙ্গা গণহত্যায় বিদেশে তার সুনামে ধস নামলেও অং সান সু চি মিয়ানমারে জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে পেরেছেন। সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) এই নির্বাচনের মাধ্যমে দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসছে বলে বিভিন্ন জরিপে উঠে এসেছে।
মিয়ানমারের রাজনীতিতে সেনাবাহিনীর প্রভাব অতীতের। সংবিধান অনুযায়ী, পার্লামেন্টের ২৫ শতাংশ আসন সেনাসদস্যদের জন্য বরাদ্দ। গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়গুলোর দায়িত্বও সেনাবাহিনীর হাতে। মিয়ানমারে অর্ধশত বছরের বেশি সময় ধরে সেনাবাহিনী ও সেনাসমর্থিত সরকারের অবসান ঘটিয়ে ২০১৫ সালের সাধারণ নির্বাচনে সংখ্যাঘরিষ্টতা পায় এনএলডি।
এক সময় স্বৈরশাসন ও সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে লড়াই করে খ্যাতি অর্জন করা সু চি রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে কার্যত দেশে-বিদেশে কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে পড়েন। কিন্তু মিয়ানমারের জনগণের মধ্যে তিনি এখনও জনপ্রিয়।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস শুক্রবার মিয়ানমারে শান্তিপূর্ণ, নিয়মতান্ত্রিক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের আহ্বান জানালেও সেখানকার ভোটের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সেখানকার প্রায় ৩ লাখের বেশি মুসলিম রোহিঙ্গা ভোট দেয়ার সুযোগ পাননি।
বার্মা ক্যাম্পেইন ইউকে নামের অধিকার গ্রুপ এবারের নির্বাচনকে জাতিবিদ্বেষী নির্বাচন হিসেবে অভিহিত করেছে। তারা বলছেন, মিয়ানমারের নির্বাচন উন্মুক্ত ও স্বচ্ছ হয়নি। দেশটির বিভিন্ন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ২০ লাখ মানুষ ভোটবঞ্চিত।
সান নিউজ/এসএ