আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আর্মেনিয়ার নৃ-গোষ্ঠী অধ্যুষিত বিতর্কিত অঞ্চল নাগোরনো-কারাবাখের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর শুসার দখল নিয়েছে আজারবাইজানের সেনাবাহিনী। রোববার (৮নভেম্বর) আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ এমনটাই দাবি করেছেন। এক অনলাইন প্রতিবেদনে এমন খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
অবশ্য আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টের এমন দাবি প্রত্যাখান করেছেন আর্মেনিয়ার সরকারি কর্মকর্তারা। তবে তারা এ বিষয়ে কোনো বিস্তারিত তথ্য জানায়নি। যদি আজারবাইজানের এই দাবি সত্যি হয় তাহলে নৃ-তাত্ত্বিক আর্মেনিয় জাতিগোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে থাকা নাগোরনো-কারাবাখে এটা হবে আজারবাইজানের বড় বিজয়।
আজেরি প্রেসিডেন্ট আলিয়েভ রোববার জাতির উদ্দেশে দেয়া এক টেলিভিশন ভাষণে বলেন, ‘অত্যন্ত গর্ব এবং আনন্দের সঙ্গে আমি আপনাদের জানাচ্ছি যে, শুশা শহর স্বাধীন হয়েছে। আর নভেম্বরের ৮ তারিখ আজারবাইজানের মানুষের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন; যে দিনে আমরা শুশার শহর ফিরে পেয়েছি।’
আর্মেনিয়ার সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আজারবাইজানের সেনাদের সঙ্গে তুমুল সংঘর্ষ চলছে। শুশা শহর ও তার আশপাশের এলাকাগুলোতে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ চলছে গত কয়েকদিন ধরেই। আজেরি সেনারা এলাকা দখলে নেয়ার চেষ্টায় আছে। উল্লেখ্য, সেপ্টেম্বরের শেষদিকে নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয়।
বিতর্কিত নাগোরনো-কারাবাখের দখল নিয়ে বিবদমান উভয় পক্ষের কাছেই সাংস্কৃতিক ও কৌশলগত দিক থেকে শুশি শহর অনেক গুরুত্বপূর্ণ। নাগরোনো-কারাবাখের সর্ববৃহৎ শহর ও রাজধানী হিসেবে পরিচিত স্টেপেনকার্ট থেকে শুশির দূরত্ব ১৫ কিলোমিটার। আন্তর্জাতিকভাবে নাগোরনো-কারাবাখ আজারবাইজানের বলে স্বীকৃত।
নতুন করে শুরু হওয়া এই সংঘর্ষে কমপক্ষে এক হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে এই অঞ্চলটি আজারবাইজানের বলে স্বীকৃত হলেও আর্মেনিয়ার নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর দখলে রয়েছে। সেখানকার জনগোষ্ঠীর বেশিরভাগও আর্মেনিয়ার। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর থেকেই দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে।
সান নিউজ/পিডিকে