ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
বিশ্বের ৮১টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস। চরম ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশসহ আরও ২৫টি দেশ। এ পর্যন্ত তিন হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৯৫ হাজারের বেশি মানুষ। করোনাভাইরাস সম্পর্কে সতর্কতাও জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
প্রতিবেশী দেশ ভারত করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ায় বাংলাদেশে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা জেগেছে। এ ব্যপারে চীনা রাষ্ট্রদূতও সতর্ক করেছেন বাংলাদেশকে।
বিশ্বে আতংক ছড়ানো প্রাণঘাতি এই করোনাভাইরাস মোকাবেলায় আট পরামর্শ দিয়েছে জাতিসংঘ শিশু তহবিল-ইউনিসেফ। আটটি পরামর্শ মেনে চললে দূরে থাকা যাবে করোনাভাইরাস থেকে।
১. করোনাভাইরাস প্রতিরোধে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। মাস্ক ভাইরাসটিকে প্রতিরোধ করতে পারে।
২. ধাতব বা বস্তুতে করোনাভাইরাস প্রায় ১২ ঘণ্টা জীবিত থাকতে পারে। তাই সাবান দিয়ে ভালো করে হাত ধুলেই প্রতিরোধে যথেষ্ট হবে।
৩. ভাইরাস মাটিতে অবস্থান করে, এটি বাতাসে ছড়ায় না। তবে সতর্ক থাকতে হবে।
৪. কাপড়ে করোনাভাইরাস ৯ ঘণ্টা জীবিত থাকতে পারে। তাই কাপড় ধুয়ে রোদে দুই ঘণ্টা রাখলে ভাইরাসটি মারা যাবে।
৫. হাত বা ত্বকে করোনাভাইরাস ১০ মিনিটের মতো জীবিত থাকতে পারে। তাই অ্যালকোহল মিশ্রিত জীবাণুনাশক হাতে মেখে নিলে ভাইরাসটি মারা যাবে।
৬. গরম আবহাওয়ায় করোনাভাইরাস বাঁচতে পারে না। ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের তাপমাত্রা ভাইরাসটিকে মারতে পারে। কাজেই বেশি বেশি গরম পানি পান করুন। এই মুহূর্তে আইসক্রিম থেকে দূরে থাকুন ।
৭. লবণ মিশ্রিত গরম পানি দিয়ে গারগল করলে টনসিলের জীবাণুসহ করোনাভাইরাস দূর হবে। এতে ফুসফুসে সংক্রমিত হবে না।
৮. করোনাভাইরাস থেকে দূরে থাকতে নাকে, মুখে আঙ্গুল বা হাত দেয়ার অভ্যাস পরিত্যাগ করুন। কারণ, মানব শরীরে জীবাণু ঢোকার মূল দরজা হলো নাক-মুখ-চোখ।