আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তুরস্ক ভিত্তিক বেশ কয়েকটি সংগঠন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও রেস্টুরেন্টের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে। এছাড়া ফ্রেঞ্চ মুসলিম নামে এক এনজিওর ওপরও আরোপ হতে পারে নিষেধাজ্ঞা। এর মালিক তুরস্কে ফিরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিন-ইয়েভস লে ড্রিয়ান বলেছেন, তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান সরাসরি সহিংসতার ঘোষণা দিয়েছেন। তাই তুরস্কের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে ফ্রান্স। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মিডেল ইস্ট মনিটর। জিন-ইয়েভস লে বলেন, বিদ্বেষ ও সহিংসতার ঘোষণা দিয়েছেন এরদোয়ান। প্রতিনিয়ত তিনি এসব প্রচার করছেন যা অগ্রহণযোগ্য। ফ্রান্স সরকার এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।
গত ১৬ অক্টোবর প্যারিসের রাস্তায় শিক্ষক স্যামুয়েল প্যাটিকে আল্লাহু আকবর বলে হত্যা করেছিল এক তরুণ। কারণ, ওই শিক্ষক ক্লাসে মহানবীর কার্টুন দেখিয়ে মত প্রকাশের স্বাধীনতার ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন। শিক্ষকের ওপর হামলাকারী আবদৌলখ নামের ওই তরুণ ঘটনাস্থলেই পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন।
এই হত্যাকাণ্ডের পর ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো বলেছেন যে, স্যামুয়েল পাটি নামের ওই শিক্ষককে খুন করার কারণ ইসলামপন্থীরা আমাদের ভবিষ্যত কেড়ে নিতে চায়, কিন্তু ফ্রান্স কার্টুন ছাপানো বন্ধ করবে না। ইসলাম ধর্ম বিশ্বজুড়ে সংকটে রয়েছে। এ ঘটনায় মুসলিম বিশ্বে ক্ষোভের ঝড় ওঠে। তুরস্কে অবস্থানরত ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয়।
ঘটনার পর এরদোয়ান ফ্রান্স প্রেসিডেন্টকে মানসিক রোগী হিসেবে আখ্যা দিয়ে বলেন, ম্যাক্রোর চিকিৎসা প্রয়োজন। এদিকে, ফ্রান্স পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তুরস্ক শুধু ফ্রান্সকেই টার্গেট করছে না। তারা পুরো ইউরোপের সংহতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। কোনো যুক্তি ছাড়া এরদোয়ান ফ্রান্সের সমালোচনা করছেন। এর ফলে তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ হতে পারে।
সান নিউজ/এসএ