আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গোটা বিশ্ব তাকিয়ে আছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের দিকে। আর নির্বাচনের সঙ্গে সঙ্গে বারবারই সবার মনে একটা প্রশ্ন জাগে কে হচ্ছেন হোয়াইট হাউসের বাসিন্দা।
২০২০ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত এগিয়ে রয়েছেন জোসেফ রবিনেট বাইডেন, জুনিয়র।
বাইডেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডেলাওয়্যার অঙ্গরাজ্য থেকে নির্বাচিত সিনিয়র সিনেটর। তিনি ২০০৮ সালের মার্কিন নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির পক্ষ থেকে ভাইস-প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তিনি বারাক ওবামার সঙ্গে ভাইস-প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং ২০০৮ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত এই পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
হোয়াইট হাউস নিয়ে সাধারণ মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। একটু লক্ষ্য করলেই দেখা যায় কেউ যুক্তরাষ্ট্রে গেলে প্রায় সবাই অবশ্যই হোয়াইট হাউস দেখতে যান। কিন্তু বাইরে থেকে ছবি তুললেও ভেতরটা সবার দেখা হয় না।
অনেকেই হয়ত ভাবেন বাড়িটার নাম হোয়াইট হাউস কেন? কারণ, ১৮১২ সালে সংঘঠিত হয় ইংল্যান্ড-আমেরিকা যুদ্ধ। যুদ্ধ চলাকালে ১৮১৪ সালের ২৪ আগস্ট ব্রিটিশ সেনাবাহিনী হোয়াইট হাউস জ্বালিয়ে দেয়।
এরপর বিল্ডিংয়ের ছোট একটি অংশ শুধু অবশিষ্ট ছিল। বিল্ডিংটির বিভিন্ন জায়গায় তখন আগুন ও ধোঁয়ার দাগ ঢাকতে এর দেয়ালে সাদা রং দেওয়া হয়। সেই থেকে মূলত একে ‘হোয়াইট হাউস’ বলা শুরু হয়। হোয়াইট হাউসের মোট রুমের সংখ্যা ১৩২ টি। হোয়াইট হাউসে রয়েছে ফ্যামেলি থিয়েটার, যেখানে ৪২ জন একসঙ্গে সিনেমা দেখতে পারেন।
আলোচিত এই ভবনটিতে প্রেসিডেন্টের বেডরুম ও অফিস ছাড়াও বিশ্বের সব ধরনের উন্নত প্রযুক্তি সুবিধা, বাচ্চাদের খেলার জায়গা, ফার্স্ট লেডির সাজ-গোজের আলাদা রুম, গেম রুম, জিম, খাবার খাওয়ার জন্য একাধিক ডাইনিং রুম ও চায়না রুম রযেছে।
সান নিউজ/এম/এস