আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ বাড়তে থাকায় ইংল্যান্ডে নতুন করে চার সপ্তাহের লকডাউন কার্যকর করা হয়েছে। লকডাউনের এই সময়ে জরুরি প্রয়োজনের বাইরে থাকা দোকানপাট, রেস্টুরেন্ট, পাব ও জিম বন্ধ থাকবে। একইসঙ্গে সবাইকে বাসায় থাকতে বলা হয়েছে। এমনকি বাসাবাড়ির বাইরে অংশ বা বাগানে চলাচলেও সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।
বিবিসির খবরে বলা হয়, ৫ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই লকাডাউন চলবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। আর ব্রিটিশ পুলিশ জানিয়েছে, লকডাউনের জন্য যেসব বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে, সেগুলো ভাঙলে কড়া জরিমানা গুনতে হবে।
এর আগে, বুধবার ব্রিটিশ সংসদ সদস্যরা করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিস্তৃতি মোকাবিলায় লকডাউন আরোপের প্রস্তাবে সম্মত হন। বুধবার দিবাগত মধ্যরাত, তথা বৃহস্পতিবার প্রথম প্রহর থেকেই এই লকডাউন কার্যকর হয়েছে। এখন এই ভাইরাস মোকাবিলায় পরবর্তী পদক্ষেপ ব্রিটিশ এমপিদের নিতে হবে আগামী ২ ডিসেম্বরের মধ্যেই।
লকডাউন আরোপের বিষয়ে বরিস জনসন বলেন, দ্বিতীয় এই লকডাউন আমাদের কারওই প্রত্যাশা ছিল না। তবে আমাদের দেশের জন্য সর্বোত্তম ও নিরাপদতম পথ হবে এটিই।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ গত কিছুদিন থেকেই আবার বাড়ছে ইংল্যান্ডে। এর মধ্যে বুধবার দেশটিতে নতুন ২৫ হাজার ১৭৭ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। অন্যদিকে মৃত্যুবরণ করেছে ৪৯২ জন। করোনা সংক্রমণ নিয়ে একদিনে মৃত্যুর এই সংখ্যা গত ১৯ মে’র পর এটিই সর্বোচ্চ।
দ্বিতীয় দফার লকডাউনে নতুন করে যেসব বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে, তাতে অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে। জরুরি পণ্য বিক্রিতে নিয়োজিত দোকানপাট ছাড়া বাকি সব দোকান বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। বিনোদনকেন্দ্র, পাব, রেস্টুরেন্টও বন্ধ থাকবে এই সময়ে। তবে টেকওয়ে সার্ভিস খোলা রাখা যাবে।
ব্রিটিশ ন্যাশনাল পুলিশ চিফস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মার্টিন হিউট বলেছেন, লকডাউনে যেসব বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে, এগুলো অনুধাবন করা ও মেনে চলা আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব। এসব আইন ভঙ্গ করলে তা জনস্বাস্থ্যের জন্য বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
তবে প্রথম ধাপের লকডাউনের তুলনায় এই দ্বিতীয় ধাপের লকডাউনের কিছু পার্থক্যও রয়েছে। এবারে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় খোলা থাকছে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, ১১ বছরের চেয়ে বেশি বয়সী যেকোনো শিক্ষার্থীকে স্কুল বা ক্লাসরুমের বাইরে যেকোনো ধরনের কার্যক্রমে অংশ নিতে হলে মাস্ক পরতে হবে। আর অসুস্থ কর্মীদের স্কুলে আসতে নিষেধ করা হয়েছে।
এর পাশাপাশি যেসব ব্যক্তি মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে রয়েছে, তারা কোনোভাবেই যেন ঘর থেকে বের না হন, সে নির্দেশনা দিয়েছে ব্রিটিশ সরকার।
সান নিউজ/এসএম