সান নিউজ ডেস্ক:
নাগরিকত্ব সংশোধন আইন নিয়ে নিয়ে তোলপাড় ভারত। রাজ্য থেকে রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ছে সহিংসতা-দাঙ্গা। ঝড়ছে মানুষের প্রাণ, আগুনে শেষ হয়ে যাচ্ছে ঘর-বাড়ি। শুধু ভারতের সাধারণ মানুষ থেকে শুভবদ্ধি সম্পন্ন মানুেষদেরকেই নয়, সিএএ এবং এনআরসি ভাবিয়ে তুলেছে দায়িত্বশীল বিশ্ব সম্প্রদায়কে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ধর্মীয় বিভাজনের নীতিতে দুই ভাগ করে ফেলা হচ্ছে ভারতকে।
এই অবস্থায় ভারতের বিতর্কিত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)-এর বিরুদ্ধে লড়তে দেশটির সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন ইউএনএইচআরসি।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার মিশেল বাখেলেটের কার্যালয় জেনেভায় অবস্থিত ভারতীয় স্থায়ী মিশনকে সোমবার সন্ধ্যায় এই আবেদনের বিষয়ে অবহিত করেছেন। মঙ্গলবার এই আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে।
তবে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রবীশ কুমার নিশ্চিত করে জানান, জেনেভায় ভারতের স্থায়ীন মিশনকে সোমবার রাতে এই খবর জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার শাখার প্রধান মিশেল বাচেলেট৷
তবে জাতিসংঘকে সরাসরি না বলে দিয়েছে মোদি সরকার। এ বিষয়ে ভারত সরকারের বক্তব্য, সিএএ দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়৷ কোনও বিদেশি সংগঠন ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারে না৷
এদিকে জাতিসংঘের মানবাধিকার শাখার প্রধান মিশেল বাচেলেট দিল্লিতে হিংসা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। গত সপ্তাহে বাখেলেট সিএএ ও দিল্লির সহিংসতায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। সহিংসতা ঠেকাতে পদক্ষেপ নিতে ভারতীয় নেতাদের প্রতিও আহ্বান জানান তিনি।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে পার্লামেন্টে আইনটি পাস হওয়ার পর জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় আইনটিকে চরিত্রগতভাবে মৌলিক বৈষম্যমূলক বলে আখ্যায়িত করে পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছিল।
রাভিশ কুমার বলেন বলেন, আমরা স্পষ্ট যে সিএএ সাংবিধানিকভাবে বৈধ এবং সংবিধানের সব মূল্যবোধের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। সিএএ ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি ভারতের সার্বভৌমত্বের সঙ্গে জড়িত কোনও ইস্যুতে বিদেশি কোনও পক্ষের হস্তক্ষেপের অধিকার নেই।
ভারত সরকারের দাবি, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সংখ্যালঘুর জনগোষ্ঠীর সুরক্ষার জন্য আইনটি প্রণয়ন করা হয়েছে। তবে জাতিসংঘ সংস্থার দাবি, আইনটিতে একই ধরণের সুরক্ষা ব্যবস্থা মুসলমানদের ক্ষেত্রে রাখা হয়নি।
সান নিউজ/সালি