আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং দুজনই সাংহাই কো-অপারেশন অরগানাইজেশনের বৈঠকে যোগ দিতে চলেছেন। আগামী ১০ নভেম্বর এই বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। পরবর্তীতে তারা যোগ দেবেন নভেম্বরের ১৭ তারিখ হতে শুরু হওয়া ব্রিকস সামিটে। ২১ ও ২২ নভেম্বর জি-২০ সামিটেও অংশ নেবেন তারা।
ভারত-চীন সীমান্তে এখনও উত্তেজনা চরমে। এর মধ্যেই চলতি নভেম্বর মাসে তিনবার চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত উত্তেজনা শুরুর পর এই প্রথমবার চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি।
ব্রিকস ও এসসিও বৈঠকের নেতৃত্ব দিবে রাশিয়া। এই দুই সম্মেলনের আয়োজকও রাশিয়া। অন্যদিকে জি-২০ সামিট আয়োজন করছে সৌদি আরব। এই প্রথম এত বড় সামিটগুলো ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে আয়োজন করা হচ্ছে। জুন মাসের ১৫ তারিখে গালওয়ান সংঘর্ষের পর মোদি-শি জিনপিং বৈঠকের দিকে তাকিয়ে রয়েছে দুই দেশ।
এই বৈঠকগুলোতে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে অভ্যন্তরীণ সহযোগিতা ও ক্রস বর্ডার টেররিজম নিয়ে কথা হতে পারে। ভারত ও চীনের মধ্যে সীমান্ত সমস্যার প্রসঙ্গও উঠে আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সাইড লাইন বৈঠকে ভারত-চীন সীমান্ত সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে এবার ভার্চুয়াল বৈঠকের কারণে সাইডলাইন বৈঠক সম্ভব নয়। তাই সরাসরি এই বৈঠকের মূল আলোচনার অংশেই ভারত-চীন সীমান্ত সমস্যার কথা উঠে আসতে পারে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা।
নভেম্বরকে এমনিতেই সম্মেলনের মাস হিসেবে ধরা হয়। এই বছর নভেম্বর মাসে এসসিও, জি২০ ও ব্রিকস ছাড়াও রয়েছে আশিয়ান সামিট। আশিয়ান ভার্চুয়াল সম্মেলন হতে চলেছে ১৩ থেকে ১৫ নভেম্বর। অন্যদিকে নভেম্বরের ৩০ তারিখ এসসিওর সদস্য দেশগুলোর প্রধানদের আলোচনা হওয়ার কথা।
আসিয়ানের আয়োজক দেশ ভিয়েতনাম। এসসিও প্রধানদের বৈঠক আয়োজন করছে নয়াদিল্লি। প্রোটোকল মেনে পাকিস্তান ও চীনকেও এই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানাতে হবে। এসসিও সদস্যদেশগুলো হল ভারত, রাশিয়া, চীন, পাকিস্তান, কাজাখস্তান, কিরঘিজস্তান, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান। তথ্যসূত্র: কলকাতা২৪।
সান নিউজ/এসএ