ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
করোনা ভাইরাসের কারণে চীনে বন্ধ হয়ে গেছে শতশত শিল্প কারখানা। ধসে পড়েছে অর্থনীতির চাকা। এই পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে জোর করে হাজার হাজার উইঘুর মুসলমানকে শিল্প কারখানায় কাজ করানো হচ্ছে। এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
করোনা ভাইরাসের কারণে চীন যখন পুরোটাই প্রায় কোয়ারেনটাইনে রয়েছে, তখন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে উইঘুর মুসলমানরা। দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে চীন মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে বলে অভিযোগ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখনও উইঘুর মুসলমানদের ওপর নির্যাতন অব্যাহত রেখেছে চীন সরকার। উইঘুর মুসলমানদের ওপর চীনের রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের অভিযোগ অনেক পুরোনো। এখনও আটকে রাখা হয়েছে লাখ লাখ উইঘুর মুসলিমকে। নেই ধর্ম পালনের স্বাধীনতা। এমনকি ধর্মীয় বিভিন্ন উপকরণ রাখতেও বিধিনিষেধ আরোপ করে রেখেছে চীন সরকার।
অস্ট্রেলিয়ান স্ট্র্যাটেজিক পলিসি ইনস্টিটিউট (এএসপিআই) বলছে, ২০১৭ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত অন্তত ৮০ হাজারের বেশি উইঘুর মুসলমানকে কারখানায় কাজ করার জন্য শিনজিয়াং প্রদেশ থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এদের বেশিরভাগই কারাগারে আটক ছিলো।
এএসপিআই জানিয়েছে, অসচ্ছলদেরকে সহায়তার নামে বিভিন্ন প্রকল্প চালু করে কাজ দেওয়ার নামে উইঘুরদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। কাজের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলে আটক হতে হয় তাদরে। সে কারণে বিভিন্ন কারখানায় কাজ করতে বাধ্য হন তারা।
এএসপিআই জানায়, উইঘুর মুসলমানদের দিয়ে চীনের নয়টি প্রদেশে মোট ২৭টি কারখানায় কাজ করানো হচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাজারে অত্যন্ত পরিচিত ৮৩টি ব্র্যান্ডের পণ্য তৈরি কাজ করছে তারা।সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো ঘটনা ঘটছে।
ওয়াশিংটন পোস্টের এক সাংবাদিক নাইক-এর একটি কারখানায় অনুস্ধান চালিয়ে দেখেন যে, ওই কারখানাটি একেবারে কারাগারের মতো। চারপাশে কাঁটাতারের বেড়া, ওয়াচ টাওয়ার,পুলিশ স্টেশন এবং সিসি ক্যামের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।
তাঁকে উইঘুর সম্প্রদায়ের এক নারী জানান, কারখানার ভেতর সব জায়গায় যাওয়ার অনুমতি আছে। কিন্তু কোনোভাবেই বাইরে যাওয়া যাবে না।