আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দেশের ইতিহাসে একক ভাবে জাতীয় নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোটে দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় আসার পর ইতিহাস গড়লেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন। দেশটির মন্ত্রিসভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে মাওরি আদিবাসী নারী নানাইয়া মাহুতাকে নিয়োগ দিয়েছেন।
যা নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোন আদিবাসী নারী গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেলেন। সোমবার ( ২ নভেম্বর) জেসিন্ডা আরডার্ন তার নতুন মন্ত্রিসভা ঘোষণা করেছেন। খবর: সিএনএন।
চার বছর আগে নানাইয়া প্রথম কোনো নারী সংসদ সদস্য হিসেবে নিউজিল্যান্ডের পার্লামেন্ট অধিবেশনে যোগ দেন। যার থুতনিতে ছিল ঐতিহ্যবাহী ট্যাটু। মাওরি সম্প্রদায়ের এই বিশেষ ধরনের ট্যাটুকে বলে মোকো কাউয়ায়ে। দেশটির আগের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইনস্টন পিটার্সও মাওরি সম্প্রদায়ের সদস্য।
দায়িত্ব পেয়ে এক প্রতিক্রিয়ায় নানাইয়া মাহুতা বলেন, আমি আপ্লুত, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের হয়ে নেতৃত্ব দিতে পারার দায়িত্ব পেয়ে আমি নিজেকে খুব গর্বিত মনে করছি।
গত মাসে প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্নের বামপন্থী লেবার পার্টি জাতীয় নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়। লেবার পার্টি ৪৯ দশমিক ১ শতাংশ ভোট পেয়ে পার্লামেন্টে ১২০ আসনের মধ্যে ৬৪টি জিতে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে।
নতুন মন্ত্রিপরিষদ ঘোষণার সময় প্রধানমন্ত্রী আরডার্ন বলেন, মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে এই মন্ত্রিসভা এবং নির্বাহী বডি যা গঠন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে এখানে অবিশ্বাস্যরকম বৈচিত্র্যও রয়েছে, আমি গর্বিত।
আরডার্নের নেতৃত্বে নিউজিল্যান্ডের পরবর্তী পার্লামেন্টের প্রায় অর্ধেক সদস্য নারী, যা বৈশ্বিক গড়ের (২৫%) চেয়ে উল্লেখযোগ্য পরিমানে বেশি। এবারের সংসদ সদস্যদের মধ্যে প্রায় ১০ শতাংশ থাকছেন তৃতীয় লিঙ্গ। নিউজিল্যান্ডের নতুন উপ-প্রধানমন্ত্রী গ্র্যান্ট রবার্টসন একজন সমকামী।
সান নিউজ/এম/এস
#মন্ত্রিসভা #নিউজিল্যান্ড