ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
সুদীর্ঘ আলোচনা ও বিশ্লেষণের পর অবশেষে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেয়ার বিষয়ে তালেবানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে যুক্তরাষ্ট্র। কাতারের মধ্যস্থতায় দীর্ঘ ১৯ বছর ধরে চলা আফগান যুদ্ধের অবসান হলো এ চুক্তির মধ্য দিয়ে।
শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) কাতারের দোহায় স্থানীয় সময় দুপুর ২টায় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এবং তালেবান নেতাদের উপস্থিতিতে এই চুক্তি সই হয়। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে আফগান বিষয়ে মার্কিন বিশেষ দূত জালমি খলিলজাদ ও তালেবানের পক্ষে মোল্লা আবদুল গণী বারদার চুক্তিতে সই করেন।
বিবিসি জানায়, তালেবানদের দেয়া শর্ত মেনেই যুক্তরাষ্ট্র চুক্তিতে সই করেছে। চুক্তি শর্ত অনুযায়ী, আগামী ১৪ মাসের মধ্যে আফগানিস্তান ছাড়তে হবে মার্কিন ও ন্যাটো সেনাদের।
যুক্তরাষ্ট্র ও আফগানিস্তানের যৌথ এক বিবৃতিতে জানানো হয়, চুক্তি স্বাক্ষরের ১৩৫ দিনের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সেনা প্রত্যাহার শুরু হবে। ১৪ মসের মধ্যে সব সেনা প্রত্যাহার করতে হবে।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে টুইন টাওয়ার ও পেন্টাগনে হামলার পর আলকায়েদাকে দায়ী করে ওয়াশিংটন। সংগঠনটির প্রধান ওসামা বিন লাদেনকে আশ্রয় দেওয়ার অজুহাতে আফগানিস্তানে আগ্রাসন চালায় যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা।
মার্কিন হামলায় তালেবান ক্ষমতাচ্যুৎ হলেও দেশটি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নিতে ব্যর্থ হয় যুক্তরাস্ট্রের সেনারা। দীর্ঘ ১৯ বছর পর শুরু হয় শান্তি আলোচনা। গত (২২ ফেব্রুয়ারি) সাময়িক যুদ্ধ বিরতি চুক্তি করে দুই পক্ষ। আজ স্থায়ী চুক্তির মাধ্যমে অবসান হয় আফগান যুদ্ধের।
আফগানিস্তানে বর্তমানে অবস্থান করছে মোট ১৪ হাজার মার্কিন সেনা ও ন্যাটোভুক্ত অন্য দেশের ১৭ হাজার সেনা।