সান নিউজ ডেস্ক: ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধন আইনকে কেন্দ্র করে এবার সংঘর্ষ শুরু হয়েছে মেঘালয়ে। দিল্লি দাঙ্গার রেশ কাটার আগেই আইনটি নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মেঘালয়। সিএএ এবং ইনার লাইন পারমিট’কে কেন্দ্র করে খাসি ছাত্র সংগঠন ও অ-জনজাতি সম্প্রদায়ের সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন একজন। এনডিটিভি’র অনলাইনে এ খবর জানানো হয়েছে।
কেএসইউয়ের নেতাদের মতে, শুক্রবার সেখানে সংঘর্ষে যিনি মারা গেছেন তিনি সোহরার লুরশাই হাইনিওটা। নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের বিরোধিতা এবং মেঘালয়ে ইনার লাইন পারমিটের (আইএলপি) দাবিতে ওই বৈঠক আয়োজন করে কেএসইউ এবং আইএলপিপন্থি নাগরিক সমাজের কয়েকটি গ্রুপ। এক পর্যায়ে সংঘর্ষের সৃষ্টি হলে এতে কেএসইউয়ের বেশ কয়েকজন সদস্যসহ পুলিশও আহত হয়। উত্তেজিত জনতা ভাংচুর করে গাড়ি। তবে বৈঠক চলাকালে কি নিয়ে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয় তা পরিষ্কার নয়।
সহিংসতায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক। ভাঙচুর করা হয়েছে বহু দোকানপাট। অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বেশ কয়েকটি স্থানে। সহিসংতা ঠেকাতে কারফিউ জারি হয়েছে শিলঙে। ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছে রাজ্যের আরও ছ' জেলায়, বন্ধ রাখা হয়েছে এসএমএস সার্ভিস।
ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী কনরাড শর্মা। শান্তি বজায় রাখতে আবেদন করে টুইট করেছেন রাজ্যপাল তথাগত রায়।
এদিকে গত ৩৬ ঘণ্টায় উল্লেখযোগ্য বড় কোনো সংঘর্ষের ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি দিল্লি থেকে। এ পরিস্থিতিতে কাউকে গুজবে কান না দেওয়ারও আহ্বান জানানো হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। গত রবিবার থেকে শুরু হওয়া দিল্লি দাঙ্গায় এ পর্যন্ত ৪২ জন নিহত এবং চার শতাধিক মানুষ আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান থেকে নিপীড়নের মুখে ভারতে পালিয়ে যাওয়া হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, পার্সি ও খ্রিস্টানদের নাগরিকত্ব নিশ্চিতে গত বছরের ডিসেম্বরে আইন সংশোধন করেছে ভারত। কিন্তু তাতে মুসলমানদের বিষয়টি বাদ রাখা হয়। আইনটিকে বৈষম্যমূলক ও সংবিধান পরিপন্থী আখ্যা দিয়ে বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভকারীদের আশঙ্কা, সিএএ বাস্তবায়নের পর এনপিআর ও এনআরসি বাস্তবায়ন করে সরকার নথি হারিয়ে ফেলা দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে লক্ষ্যবস্তু বানাবে।