আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) ঘিরে শুরু হওয়া এই হিন্দুত্ববাদী তাণ্ডবে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৩২ জন । আহত হয়েছেন অন্তত দুই শতাধিক।
সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সফরের মধ্যেই ভারতের বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের সমর্থক এবং বিরোধীদের সংঘাত আরও ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের পরিদর্শনের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে দিল্লির ভজনপুর এলাকায় নতুন করে সহিংসতা হয়েছে।
এদিকে, সহিংসতা ঠেকাতে ব্যর্থ হয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কয়েক দফা পর্যালোচনামূলক বৈঠক করেও সহিংসতা ঠেকাতে ব্যর্থতার অভিয়োগ ওঠে তার বিরুদ্ধে।
হিন্দুত্ববাদী তাণ্ডব নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার ও পুলিশের সমালোচনা করায় দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি এস মুরালিধরকে বদলি করা হয়েছে। গতরাতে তাকে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টে বদলির নোটিশ জারি করে ভারত সরকার।
তিনি বলেছিলেন, আরেকটি ১৯৮৪-এর মতো পরিস্থিতি ঘটতে দিতে পারেন না ভারতের আদালত। ভিডিও পর্যালোচনা করে বৃহস্পতিবারের মধ্যে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পুলিশ কমিশনার আমুলিয়া পাটনায়েককে নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। বিজেপির তিন নেতা অনুরাগ ঠাকুর, কপিল মিশ্র ও পারভেশ ভার্মার ঘৃণাবাদী বক্তব্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি নাগরিকদের নিরাপত্তা, ২৪ ঘণ্টা হেল্পলাইন, পর্যাপ্ত অ্যাম্বুলেন্স ও আশ্রয়ের ব্যবস্থা করারও নির্দেশ দেন বিচারপতি এস মুরালিধর।
এদিকে, হিংসতার প্রতিবাদ করায় বিশ্বভারতীতে অধ্যায়নরত বাংলাদেশের নাগরিক এক শিক্ষার্থীকে ভারত ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ঐ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ভারতবিরোধী কার্যকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগ এনেছে ভারত সরকার। তাদে দেশে ফেরত পাঠাতে ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রশন অফিস (এফআরআরও) থেকে এ নির্দেশ পাঠানো হয়।