আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের শহর পেশওয়ারের এক ধর্মীয় স্কুলে ভয়াবহ বিস্ফোরণে ৭ জন নিহত এবং ১০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টায় স্পিন জামাত মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ওই মসজিদটি মুসলিম শিশুদের ধর্মীয় শিক্ষা দেয়ার জন্য স্কুল হিসেবে ব্যবহার হতো।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন, ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও কাতার ভিত্তিক আল-জাজিরা বলছে, আহতদের মধ্যে অনেকেই শিশু।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক ব্যক্তি আল-জাজিরা প্রতিনিধিকে বলেন, এটা আত্মঘাতী হামলা নয়। সেখানে ব্যাগে করে বিস্ফোরক রাখা ছিল। একইভাবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পুলিশ সদস্য রয়টার্সকে বলেছেন, অচেনা ব্যক্তির পুঁতে রেখে যাওয়া বিস্ফোরক থেকে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে। বিস্ফোরণের তীব্রতায় ক্লাসের ছাদ উড়ে গিয়েছে। মাদ্রাসাটি একাংশ ভেঙে গিয়েছে। ডন নিউজ বলছে, এ ঘটনায় ৭ জন নিহতের পাশাপাশি অন্তত ১১০ জন আহত হয়েছে।
এখন পর্যন্ত কোনও গোষ্ঠী এই বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেনি। এলাকায় তুমুল উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। বস্তুত, বহু দিন পরে পেশওয়ারে এত বড় বিস্ফোরণ ঘটল।
এক সময় তালেবানের শক্ত ঘাঁটি ছিল পেশওয়ার। ইসলামাবাদ থেকে ১৭০ কিলোমিটার দূরের এই শহর নিয়ে দীর্ঘদিন চিন্তিত ছিল পাকিস্তান প্রশাসন। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে সেখানকার একটি স্কুলে বিস্ফোরণ ঘটায় তালেবান। প্রায় ১৫০ ছাত্র নিহত হয়। তারপরেই পাকিস্তান সেনাবাহিনী দেশ জুড়ে অপারেশন চালায়। আফগান সীমান্তে বেশ কিছু জঙ্গি শিবির ধ্বংস করা হয়। তারপর থেকে নিত্যদিনের উত্তেজনা খানিকটা প্রশমিত হয়। তবে মঙ্গলবারের দিনের বিস্ফোরণ ফের নতুন বিপদের আশঙ্কা তৈরি করল।
বিস্ফোরণের ঘটনায় মসজিদের নামাজের জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হাসপাতালে মোট ৭২ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।
সান নিউজ/এসএম