নিউজ ডেস্ক : স্টুডেন্ট ওয়ার্ক ভিসা দিয়ে ‘প্রতারণা’ করে যুক্তরাষ্ট্রের বসবাসের অভিযোগে এক বাংলাদেশিসহ মোট ১৫ বিদেশি শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই)। বুধবার (২১ অক্টোবর) তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। নিয়ম ‘মানছেন না’ এমন আরও ১ হাজার ১০০ বিদেশি শিক্ষার্থীকে শনাক্ত করেছে বলে জানিয়েছে আইসিই।
মার্কিন গণমাধ্যমে এনবিসির নিউজে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা যেসব কোম্পানির হয়ে কর্মরত থাকার দাবি করেছিলেন তা আর বহাল নেই। আইসিই ডিরেক্টর টনি ফ্যাম এ ব্যাপারে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, অ-অভিবাসী যেকোনো শিক্ষার্থী যদি শর্ত না মানে বা নিয়ম লঙ্ঘন করে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দেওয়া হবে।
আইসিই ডিরেক্টর টনি ফ্যাম আরও বলেছেন, ‘নিয়ম না মানা অভিবাসীদের সন্ধানে জানুয়ারি থেকে তদন্ত শুরু হয়, যার নাম দেওয়া হয়েছে অপারেশন অপটিক্যাল ইল্যুশন। এটি সবে শুরু হলো। আমরা আরও কঠিন সিদ্ধান্তে যাব।’
বুধবার গ্রেপ্তার হওয়া গ্রেপ্তার হওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১১ জন ভারতীয়, দুজন লিবিয়ান। বাকি দুজনের বাড়ি সেনেগাল এবং বাংলাদেশে।
এর আগে গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরকে অবৈধ অভিবাসীদের অভয়ারণ্য হিসেবে চিহ্নিত করেছেন মার্কিন ইমিগ্রেশন এবং শুল্ক প্রয়োগকারী (আইসিই) কর্মকর্তারা। যে কারণে শহরটিতে ঝটিকা অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে মঙ্গলবার ৫৪ অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়। যাদের বিরুদ্ধে শিশু নির্যাতন-ধর্ষণ, মাদক ব্যবসার মতো বড় কিছু অভিযোগ রয়েছে।
গ্রেপ্তার হওয়া অভিবাসীরা- চীন, ডোমিনিকান রিপাবলিক, ইকুয়েডর, এল সালভাডর, গুয়াতেমালা, গ্রেনাডা, গায়ানা, হন্ডুরাস, আয়ারল্যান্ড, জামাইকা, মেক্সিকো, মোল্দোভা, মোজাম্বিক, পাকিস্তান, পানামা, পেরু এবং সেন্ট লুসিয়ার নাগরিক। তাদের বিরুদ্ধে হামলা, শিশুর যৌন নির্যাতন, ধর্ষণ, ভারী আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার, চুরি, সম্পত্তি দখল, মাদক ব্যবসা, মাদক সেবনের পর গাড়ি চালানো, ডাকাতি এবং গ্র্যান্ড লারসিনির মতো অভিযোগ রয়েছে।
নিউইয়র্ক সিটির বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ ছাড়া নাসাও, সাফলক, ডাচেস, আলস্টার এবং ওয়েস্টচেস্টারের প্রতিবেশি কাউন্টিগুলিতে গ্রেপ্তার অভিযান চলে।
সান নিউজ/এম