আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সন্ত্রাসবাদে মদদ দেয়ার জন্য সুদানকে কালো তালিকাভুক্ত করে রেখেছে আমেরিকা। শর্তসাপেক্ষে সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে দিচ্ছেন ট্রাম্প।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শর্তগুলো হলো, সন্ত্রাসী হামলায় মৃত ও ক্ষতিগ্রস্ত এবং তাঁদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে সুদানকে। তা হলেই কালো তালিকা থেকে সুদানের নাম সরিয়ে নেবেন তিনি। সন্ত্রাসে মদদ দেয়ার জন্য সুদানের নাম কালো তালিকায় রেখেছিল আমেরিকা।
ট্রাম্প টুইট করে জানিয়েছেন, ''সুদান সরকার ক্ষতিগ্রস্ত আমেরিকান পরিবারগুলিকে ৩৩ কোটি ৫০ লাখ ডলারের প্যাকেজ দিতে রাজি হয়েছে। এই অর্থ জমা পড়লেই আমি সন্ত্রাসবাদে মদতকারী রাষ্ট্রের তালিকা থেকে সুদানের নাম সরিয়ে দেব। দীর্ঘদিন পরে আমেরিকার মানুষ ন্যায় পাচ্ছে। সুদানও একটা বড় পদক্ষেপ নিয়েছে।''
সুদানের প্রধানমন্ত্রী আবদাল্লা হামদক জবাবে বলেছেন, ''প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অনেক ধন্যবাদ। আমরা মার্কিন কংগ্রেসে সুদান নিয়ে আপনার প্রস্তাব পাঠানোর দিকে তাকিয়ে আছি। কালো তালিকাভুক্ত হওয়ায় সুদানের প্রচুর ক্ষতি হয়েছে।''
১৯৯৩ সালে আমেরিকা কালো তালিকাভুক্ত করেছিল সুদানকে। অভিযোগ ছিল, সুদান সরকার সন্ত্রাসবাদে মদত দিচ্ছে। সে সময়ে সুদানের প্রেসিডেন্ট ওমর আল-বশির গত বছর বিক্ষোভের ফলে ক্ষমতাচ্যূত হয়েছেন। ওমর আল-বসিরের সঙ্গে আল কায়দার যোগ ছিল বলে আমেরিকার অভিযোগ।
সুদান এখন যে প্যাকেজ দিতে রাজি হয়েছে, তার মধ্যে ১৯৯৮ সালে তাঞ্জানিয়া ও কেনিয়ায় এবং ২০০০ সালে ইয়েমেনে মার্কিন দূতাবাসে আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত আমেরিকানদের ক্ষতিপূরণও ধরা আছে। সংবাদসংস্থা রয়টার্সকে সূত্র জানিয়েছে, ইসরায়েলের সঙ্গেও সম্পর্ক স্থাপন করতে পারে সুদান। এর আগে মার্কিন মধ্যস্থতায় ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক শুরু করেছে আমিরাত ও বাহরা্ইন। আর ট্রাম্পও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাঁর বিদেশনীতির এই সাফল্য নিয়ে ভরপুর প্রচার চালাচ্ছেন।
সান নিউজ/এনকে/এস