আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
তিনদিনের যৌথ নৌ মহড়া শুরু করতে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা এবং ভারত। শ্রীলঙ্কার ত্রিনকোমালি থেকে এই মহড়া শুরু হবে। ভারতের কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই যৌথ মহড়ার বিষয়ে নিশ্চিত করেছে। দু'দেশের মধ্যে পারস্পরিক আদান প্রদান ও সমন্বয় সাধনের লক্ষ্যেই এই মহড়া হবে বলে জানানো হয়েছে। স্লিনেক্স-২০ শীর্ষক এই নৌ মহড়া ৮ বছর ধরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ১৯ অক্টোবর থেকে ২১ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে এই মহড়া।
শ্রীলঙ্কার পক্ষ থেকে মহড়ায় অংশ নিচ্ছে এসএলএন শৌর্য (অফশোর পেট্রল ভেসেল), গজবাহু (ট্রেনিং সহায়ক জাহাজ)। এই মহড়ার নেতৃত্বে রয়েছেন রিয়ার অ্যাডমিরাল বান্দারা জয়তিলক। এই মহড়ায় ভারতের নেতৃত্ব দেবেন ইস্টার্ণ ফ্লিট কমান্ডিং ফ্ল্যাগ অফিসার রিয়ার অ্যাডমিরাল সঞ্জয় বৎসায়ন। সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি এএসডব্লিউ কভার্ট কামোরটা ও কিলটান মহড়ায় অংশ নিচ্ছে। এছাড়াও ভারতীয় নৌবাহিনীর অত্যাধুনিক লাইট হেলিকপ্টার ও চেতক হেলিকপ্টার উপস্থিত থাকবে মহড়ায়। অংশ নেবে ডোর্নিয়ার মেরিটাইম পেট্রল এয়ারক্রাফট। এর আগে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে ভারতের বিশাখাপত্তনমে দু'দেশের মধ্যে নৌ মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
চীনকে চাপে রাখতে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করছে ভারত। কূটনৈতিক দিক থেকে ভারত মহাসাগরে আধিপত্য বজায় রাখতে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করাটা ভারতের জন্য জরুরি হয়ে পড়েছে। এসব বিষয়ে লক্ষ্য রেখেই গত আগষ্টে শ্রীলঙ্কাকে ৪শ মিলিয়ন ডলারের মুদ্রা বিনিময়ের সুবিধা দেওয়া হয়েছে। রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এবং সেন্ট্রাল ব্যাংক অব শ্রীলঙ্কার এই মুদ্রা চুক্তি ভবিষ্যতে ভারত থেকে ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা দেবে। এই সিদ্ধান্তের ফলে আগামী দিনে ঋণের সুদের হার ওঠানামার ঝুঁকি অনেকটাই কমবে বলে মনে করা হচ্ছে। লাদাখে চীনের সঙ্গে সংঘাতের অনেক আগে থেকেই ভারত মহাসাগরে চীনের গতিবিধি নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারত। মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, ইরান এবং পূর্ব আফ্রিকার বিভিন্ন বন্দরে তাদের উপস্থিতি শুধুমাত্র ভারতের ক্ষেত্রেই নয়, মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড, ফরাসি ও ব্রিটিশ নৌবাহিনীর কাছেও তা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান এবং অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে চীন বিরোধী চতুর্মুখী গোষ্ঠী গড়ে তুলতে উদ্যোগী হয়েছে ভারত।
সান নিউজ/পিডিকে