আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
যেসব দেশ বা ব্যক্তি এখন থেকে ইরানের সঙ্গে অস্ত্র কেনাবেচা করবে তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে যুক্তরাষ্ট্র এমনই সতর্ক বার্তা দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। রোববার (১৯ অক্টোবর) থেকে ইরানের ওপর জাতিসংঘের আরোপিত অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রত্যাহার হয়ে যাওয়ার পর পম্পেও এ প্রতিক্রিয়া জানালেন।
২০১৫ সালে ছয় বিশ্ব শক্তির সঙ্গে ইরানের স্বাক্ষরিত পরমাণু সমঝোতা ও জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ২২৩১ নম্বর প্রস্তাবের ভিত্তিতে এ নিষেধাজ্ঞা উঠে গেছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী পম্পেও রোববার ওয়াশিংটনে এক বিবৃতিতে বলেন, কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা দেশ ইরানে অস্ত্র বিক্রি করলে বা ইরান থেকে অস্ত্র কিনলে ওয়াশিংটন সেই ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা দেশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে।
ইরানের কাছে প্রচলিত সমরাস্ত্র বিক্রি কিংবা তেহরানের কাছ থেকে অস্ত্র কেনা হবে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব লঙ্ঘনের শামিল দাবি করেন পম্পেও। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, ইরানের কাছে অস্ত্র বিক্রি করলে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বাড়বে এবং ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর’ হাতে বিপজ্জনক সমরাস্ত্র চলে যাবে। এদিকে রোববার ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এখন থেকে তেহরান কোনো আইনগত বাধা ছাড়াই যে কোনো দেশের কাছ থেকে নিজেদের প্রয়োজন মতো অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম কিনতে এবং যে কোনো দেশের কাছে তা বিক্রি করতে পারবে। ২২৩১ নম্বর প্রস্তাবে স্পষ্ট বলা হয়েছে যে, ২০২০ সালের ১৮ অক্টোবর ইরানের ওপর থেকে স্বয়ংক্রিয় ও নিশ্চিতভাবে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে এবং জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে ঘটা করে কোনো ঘোষণা দেয়ার প্রয়োজন নেই। কিন্তু এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে এই নিষেধাজ্ঞা নবায়নের চেষ্টা করলেও বেশিরভাগ সদস্য দেশ এর বিরোধিতা করেছে।