আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচলেট বিশ্বব্যাপী সরকার প্রধানদের তাদের দেশে ধর্ষণ ও যৌন সহিংসতা প্রতিরোধের নারীদের সুরক্ষার প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করা, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, দ্রুত অপরাধের তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার বলেছেন, ধর্ষণ বড় ধরণের একটি অপরাধ। এটা প্রতিরোধে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, সামাজিক দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করনের মাধ্যমে অপরাধের দ্রুত তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, সম্প্রতি আলজেরিয়া, বাংলাদেশ, ভারত, মরোক্কো, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান ও তিউনিসিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ধর্ষণের অসংখ্য খবরের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বের শান্তিপ্রিয় মানুষ যথাযথভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। নারীর প্রতি সহিংসতা ও যৌন নিপীড়ন রোধের প্রতিকার এবং বিচারের দাবি জানিয়েছেন। ন্যায়বিচারের দাবির সঙ্গে আমিও একাত্মতা পোষণ করছি। তবে আমি উদ্বিগ্ন যে, কিছু কিছু দেশে ইতোমধ্যে মধ্যে নিষ্ঠুর অমানবিক শাস্তি এবং অপরাধীদের মৃত্যদণ্ড কার্যকরে আইন গৃহীত হয়েছে।
নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ প্রতিরোধে নাইজেরিয়ার আইন সংশোধন করা হয়েছে। বাংলাদেশে রাষ্ট্রপতি ধর্ষণের জন্য মৃত্যুদণ্ড প্রবর্তণে মহিলা ও শিশু নির্যাতন (প্রতিরোধ) আইন সংশোধন করে একটি অধ্যাদেশ জারি করেছেন। পাকিস্তানের জনসাধারণ ফাঁসির আহ্বান জানিয়েছে। আরও অনেক দেশজুড়ে মৃত্যুদণ্ডের আবেদন জানানো হয়েছে। মৃত্যুদণ্ডের মূল যুক্তিটি হলো ধর্ষণরোধ করা। তবে বাস্তবে এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি যে, অপরাধ দমনে মৃত্যুদণ্ড অন্য যেকোনো ধরণের শাস্তির চেয়ে বেশি কার্যকর।
বিশ্বের বেশিরভাগ দেশগুলোর মূল সমস্যা হল যৌন সহিংসতার বা নির্যাতনের শিকার ব্যক্তি ন্যায়বিচার পায় না। মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার পূর্বে, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান মিশেল ব্যাচলেট।
সান নিউজ/এসকে/এস