আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
করোনাভাইরাসে বিশ্বে মৃতের সংখ্যা প্রায় ১১ লাখ। সংক্রমণের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত পর্যটনের জন্য বিখ্যাত ইউরোপের নানা শহর। হারিয়ে গেছে সেই চেনা ছবিগুলো। জনশূন্য হয়ে পড়ে আছে প্যারিসে আইফেল টাওয়ারের আশপাশ। মানুষহীন রাস্তার ধারে কাফে-রেস্তরাঁগুলো।
করোনাকালীন সময়ে কিছুদিন আগে স্বল্প পরিসরে আগের চেহারায় ফিরেছিল প্রেমের শহর প্যারিস। শুরু হয়েছিলো মানুষের পদচারণা। সীমিতভাবে ঘর থেকে বের হয়েছিলো অনেকেই। তবে করোনার প্রাদুর্ভাব ফের বৃদ্ধি পাওয়ায় আবারো জরুরী অবস্থার মধ্যে যেতে হচ্ছে প্যারিসবাসীকে।
চলতি সপ্তাহের শনিবার থেকে প্যারিস, লিয়ঁ, মার্সেই, তুলুসসহ ফ্রান্সের মোট ৯টি শহরে জরুরী অবস্থা জারি হতে চলেছে। শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁ সরকারি টিভি চ্যানেলে দেশবাসীর উদ্দেশে বলেন, আমাদের কিছু একটা করতেই হবে। যে ভাবে সংক্রমণ ঘটছে, সেটা আটকাতেই হবে।’
তিনি জানান, দিনের বেলা আংশিক খোলা থাকবে শহর। রাত ৯টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত শাটডাউন চলবে। আগামী ৬ মাস এই নিয়ম বহাল থাকবে বলে জানানো হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।
এদিকে কড়াকড়ি বেড়েছে ইউরোপের আরেক দেশ জার্মানিতেও। দেশটির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল বলেন, ‘একটা বিষয় আমার কাছে স্পষ্ট। এখন আমরা যা করব, সেটাই ঠিক করে দেবে কিভাবে এই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠবো আমরা।’ ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর মধ্যে সব চেয়ে খারাপ অবস্থা স্পেনের। ৯ লাখের উপরে সংক্রমিত। মৃত্যু হয়েছে ৩৩ হাজারেরও বেশি। মাদ্রিদে লকডাউন জারি হয়েছে। ক্যাটালোনিয়ার একাংশেও পাব, রেস্তরাঁ বন্ধ আগামী ১৫ দিনের জন্য।
সান নিউজ/এসএম