আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
প্রায় ১৪ মাস পর মুক্তি পেয়েই আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (পিডিপি) প্রেসিডেন্ট মেহবুবা মুফতি। তিনি বলেছেন, জম্মু-কাশ্মীরের লড়াই চলবে।
মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) রাতে মুক্তি পান নেত্রী মেহবুবা মুফতি। খবর এনডিটিভির।
মুক্তি পাওয়ার পর নিজের জীবনের কঠিন সময়ের কথা টুইটারে শেয়ার করেন মেহবুবা। সেখানে তিনি বলেন, জম্মু-কাশ্মীরের লড়াই চলবেই। এখনও যাদের আটকে রাখা হয়েছে, তাদেরও ছাড়তে হবে।
মঙ্গলবার রাত পৌনে ১০টার দিকে তাকে মুক্তি দেয়া হয়। মেহবুবার মুক্তির বিষয়টি টুইট করে জানিয়েছেন জম্মু-কাশ্মীর সরকারের মুখপাত্র রোহিত কানসাল।
ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের পর গত বছরের ৫ আগস্টে জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক তিন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহ, ওমর আবদুল্লাহ এবং মেহবুবা মুফতিসহ কাশ্মীরের বহু রাজনীতিককে আটক করে কেন্দ্রীয় সরকার।
কয়েক মাস আগে ওমর আবদুল্লাহ ও ফারুক আবদুল্লাহসহ কয়েকজনকে মুক্তি দেয়া হলেও মেহবুবাকে গৃহবন্দি করেই রাখা হয়।
বারবার নানা অজুহাতে তার গৃহবন্দির মেয়াদ বাড়ানো হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। গত জুলাইয়ে তিন মাসের জন্য মেহবুবার গৃহবন্দির সময়কাল বাড়িয়েছিল প্রশাসন।
৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের পর মেহবুবাকে প্রথমে দুটি সরকারি বাসস্থানে আট মাস গৃহবন্দি করে রাখা হয়। তার পর এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে তাকে ফের আটক দেখানো হয় জননিরাপত্তা আইনে।
এর পর তার বাসভবন ফেয়ার ভিউতে স্থানান্তর করা হয় মেহবুবাকে। সেই বাসভবনকে অস্থায়ী জেলে পরিণত করা হয় এবং সেখানেই গৃহবন্দি করে রাখা হয় পিডিপি নেত্রীকে।
মেহবুবাকে কোন যুক্তিতে আটকে রাখা হয়েছে তা নিয়ে সরব হয়েছিলেন তার মেয়ে ইলতিজা মুফতি। সরকারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিমকোর্টে মামলা করেন ইলতিজা। গত সেপ্টেম্বরে সেই মামলার শুনানি ছিল।
তখন আদালত সরকারের কাছে জানতে চেয়েছিলেন কতদিন মেহবুবাকে তাদের হেফাজতে রাখবে। এ বিষয়ে দুই সপ্তাহের মধ্যে সরকারের জবাবদিহি চেয়েছিলেন আদালত। তার পরই এ দিন মুক্তি দেয়া হয় মেহবুবাকে।
সান নিউজ/বিএস