আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হতে যাচ্ছে এমন তিনটি দেশ যারা নিজেরাই বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী হিসেবে অভিযুক্ত।
চীন, রাশিয়া ও সৌদি আরব জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হতে যাচ্ছে। এই তিনটি দেশ নিজেরাই বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী হিসেবে অভিযুক্ত। খবর বিবিসির। বিশ্বের মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, এই তিন দেশ কোনোমতেই মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য হতে পারে না এবং এ ব্যাপারে সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে দ্বিতীয়বার নতুন করে চিন্তা করার দাবি জানিয়েছে।
জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের জন্ম হয়েছিল ২০০৬ সালের ১৫ মার্চ। এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে- সদস্য রাষ্ট্রগুলোতে মানুষের মৌলিক অধিকার এবং বাকস্বাধীনতা, ধর্মীয় স্বাধীনতা, নারী অধিকার ইত্যাদি নানা ধরনের মানবাধিকারকে হেফাজত করা। এর সদস্য সংখ্যা ৪৭।
মানবাধিকার কাউন্সিলের আগে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন বা ইউএনসিএইচআর নামে আরেকটি প্রতিষ্ঠান এসব বিষয় দেখাশোনা করত। কিন্তু খারাপ মানবাধিকার রেকর্ড রয়েছে, এমন কিছু দেশকে এই কমিশনের সদস্য বানানো কেন্দ্র করে যে বিতর্ক শুরু হয়, তার জেরে ওই প্রতিষ্ঠানটিকেই শেষ পর্যন্ত বিলুপ্ত করা হয়।
এখন এই জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের বিরুদ্ধেও একই ধরনের অভিযোগ উঠেছে চীন, রাশিয়া ও সৌদি আরবকে সদস্যপদ দেয়ার প্রশ্নে। আর এসব অভিযোগ উঠছে চীনে সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলমানদের ওপর ব্যাপক নির্যাতন, রাশিয়ায় বিরোধী দলের ওপর দমন-পীড়ন আর সৌদি রাজপরিবারের নির্দেশে সাংবাদিক জামাল খাশোগির হত্যার মধ্যদিয়ে।
জাতিসংঘের স্পর্শকাতর কর্মকাণ্ডের ওপর নজর রাখে এমন একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ইউএন ওয়াচ বলছে– ব্যাপারটি হচ্ছে যারা অগ্নিসংযোগ করে এমন একটি দলের হাতেই দমকল বাহিনীর দায়িত্ব ছেড়ে দেয়া। তবে কূটনীতিকরা আশা করছেন, এই তিনটি দেশ যদি কাউন্সিলের সদস্য হয়, তা হলে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো নিয়েও তাদের জবাবদিহিতার মুখোমুখি করা যাবে।
সান নিউজ/এসকে