ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
নতুন করে আরও ৯৮ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮৭৩ জনে। মঙ্গলবার দেশটির স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে, সোমবার নতুন করে মারা যাওয়া ৯৮ জনের মধ্যে অন্তত ৯৩ জন হুবেই প্রদেশের। এছাড়া এদিন নতুন করে আক্রান্ত হওয়া ১৮৬৮ জনের মধ্যে বেশিরভাগই হুবেই প্রদেশের। এনিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৭২ হাজার ৪৩৬ জনে। তবে জানুয়ারির পর থেকে সোমবারই প্রথম চীনের মূল ভূখণ্ডে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা নেমে এসেছে দুই হাজারের নিচে।
এদিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন উহানের উচ্যাং হাসপাতালের পরিচালক লিউ ঝিমিং। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়রি) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চীনের কোনো হাসপাতালের প্রধান হিসেবে প্রথম প্রাণ গেছে লিউ’র। গত শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) এই হাসপাতালেরই লিউ ফ্যান নামে ৫৯ বছর বয়সী এক নার্স মারা যান করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে
বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি পাওয়া যায়নি। তবে সিঙ্গাপুরে পাঁচ বাংলাদেশি করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে চ্যানেল নিউজ এশিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত শনিবার সিঙ্গাপুরে নতুন করে আরও পাঁচজনকে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজন দেশটির গ্রেস অ্যাসেম্বলি অব গড চার্চের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। একজন সেলেটার অ্যারোস্পেস হেইটস নির্মাণাধীন স্থাপনায় কর্মরত ছিলেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, চীনে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বিশ্বের বাকি দেশগুলোর জন্য ভয়াবহ হুমকি হতে পারে। করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট রোগের নাম দেওয়া হয়েছে কোভিড-১৯ (COVID-19)।
নতুন এই ভাইরাস থেকে সৃষ্ট রোগ এখন থেকে কোভিড-১৯ নামেই পরিচিত হবে। ভাইরাসটির নামের CO দিয়ে করোনা, VI দিয়ে ভাইরাস, D দিয়ে ডিজিজ (রোগ) এবং 19 দিয়ে ২০১৯ সালকে নির্দেশ করা হয়েছে। গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথমবারের মতো নতুন এই ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে।