আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় লকডাউনকে প্রাথমিক উপায় হিসেবে ব্যবহার না করতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষ দূত ডা. ডেভিড নাবারো এক সাক্ষাতকারে এ কথা বলেন।
ডা. ডেভিড নাবারো বলেন, করোনার প্রকোপ শুরুর এক পর্যায়ে এটি নিয়ন্ত্রণে লকডাউন আরোপ করার নীতিকে সমর্থন করেন না বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। যুক্তরাজ্যের সংবাদ সাময়িকী দ্য স্পেকটেটরের সাংবাদিক অ্যান্ড্রু নিলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লকডাউনের নেতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরে এ কথা বলেন ডা. নাবারো।
ডা. নাবারো বলেন, লকডাউনের ফলে বিশ্বে ক্ষুধার্থ মানুষ ও দারিদ্র্যতার হার অনেকাংর্শে বেড়ে গেছে। ধ্বংসের মুখে পতিত হয়েছে পর্যটনশিল্প। বিশ্বজুড়ে কৃষিজাত পণ্য উৎপাদন দ্রুত কমে গেছে। দরিদ্র জনগোস্ঠীর হার নিচে নামছে। মনে হচ্ছে, আগামী বছর নাগাদ দারিদ্র্যের হার দ্বিগুণ হতে যাচ্ছে। শিশুর পুষ্টিহীনতা দ্বিগুণ হয়ে পড়বে।
এ সপ্তাহের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশের ছয় হাজারের বেশি চিকিৎসা বিজ্ঞানী করোনাভাইরাসের কারণে আরোপিত লকডাউনে ‘অপূরণীয় ক্ষতির কথা উল্লেখ করে লকডাউন এড়িয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে একটি প্রতিবেদনে স্বাক্ষর করেন।
যুক্তরাষ্ট্রে লকডাউনের ফলে শিশুদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়েছে। এ ছাড়া বেড়েছে মাত্রাতিরিক্ত মাদকের ব্যবহার ও পারিবারিক সংঘাত। একটি গবেষণার বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন এক্সামিনার এসব তথ্য দেয়।
এ পর্যন্ত করোনায় যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় দুই লাখ ২০ হাজার এবং বিশ্বে মোট ১০ লাখ ৮১ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্ত হয়েছে তিন কোটি ৭৭ লাখের বেশি মানুষ।