চীনে কমতে শুরু করেছে নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে, রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে দুই হাজার ৯ জন। আগের দিন এ সংখ্যা ছিল দুই হাজার ৪৬১ জন। গত তিনদিন যাবত কমছে আক্রান্তের সংখ্যা।
চীনে এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন সাড়ে ৬৮ হাজার। রোববার চীনে করোনা ভাইরাসে মারে গেছে ১০৫ জন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭৭০ জনে। তাদের অধিকাংশই হুবেই প্রদেশের বাসিন্দা।
এদিকে, চীনের বাইরে তাইওয়ানে প্রথমবারের মতো করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সময় শনিবার রাতে তিনি ওই ব্যক্তি মারা যান। রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী চেন শিহ-চুং বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ৬০ বছরের ওই ব্যক্তি পেশায় একজন ট্যাক্সি ড্রাইভার ছিলেন।
নতুন আক্রান্তের সংখ্যা কমে আসায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এই মহামারীকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।
চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পূর্ণাঙ্গ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নিয়েছে চীন। আর এ প্রক্রিয়া ছিল খুবই সমন্বিত। বেইজিং দাবি করছে, চীন ছাড়া অন্য কারও পক্ষে এর চেয়ে ভালোভাবে এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলা করা সম্ভব নয়।
চীনে ইতোমধ্যেই করোনা ভাইরাসের উপসর্গ গোপন করাকে ফৌজদারি অরপাধ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে দেশটির একটি আদালত। একইসঙ্গে আদালত জানিয়েছে, আক্রান্ত হওয়ার উপসর্গ কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে গোপন করলে তার মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে। শুধু তাই নয়, ভ্রমণের তথ্য গোপন করলেও ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বেইজিং ডেইলির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কেউ ভাইরাসটি ছড়াতে সহযোগিতা করলে তাকে মানুষের নিরাপত্তা হুমকিতে ফেলার অপরাধে অভিযুক্ত করা হবে। এ ক্ষেত্রে নির্দেশনা অমান্যকারীদের ১০ বছরের জেল ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অথবা মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হতে হবে। শনিবার চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনও একটি নতুন নির্দেশনা জারি করেছে। সেখানে জ্বর, কাশি অথবা অন্য কোন রোগে আক্রান্তদের সড়ক, রেল কিংবা বিমানে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকেই গত বছরের শেষ দিকে করোনা ভাইরাস ছড়াতে শুরু করে। যা বর্তমানে বিশ্বের ২৫টি দেশে ছড়িয়ে পড়ে।