ইরান ও হামাস নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ। একটি গোয়েন্দা নথি প্রকাশ করে তিনি দাবি করেছেন, ইসরায়েলকে দুই বছরের মধ্যে ধ্বংস করতে ২০২১ সালে ৫০০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা চেয়ে হামাস নেতারা ইরানকে দিয়েছিল।
টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবিবার (৬ এপ্রিল) একটি গোয়েন্দা নথি প্রকাশ করেছেন।
ওই নথিতে দাবি করা হয়, ইসরায়েলকে ধ্বংস করার জন্য হামাসের প্রয়াত নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার ও মুহাম্মদ দেইফ ২০২১ সালের জুন মাসে ইরানের আইআরজিসি কুদস ফোর্স কমান্ডার ইসমাইল কানিকে লেখা এক চিঠিতে ৫০০ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা চেয়েছিল।
এক ভিডিওতে ইসরায়েল কাটজ বলেন, ‘আমি এখানে প্রথমবারের মতো একটি নথি প্রকাশ করছি যা গাজায় হামাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সুড়ঙ্গে পাওয়া গেছে। যেখানে ইরানের সঙ্গে ইয়াহিয়া সিনওয়ার এবং মুহাম্মদ দেইফের সরাসরি সম্পর্ক ছিল বলে প্রমান পাওয়া যায়। এটি ছিল হামাসের ইসরাইয়েকে ধ্বংস করার পরিকল্পনায় ইরানের সমর্থনের অংশ।’
তিনি আরও বলেন, নথিতে, তারা (হামাস নেতারা) ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড কর্পসের কুদস ফোর্সের কমান্ডারকে ইসরায়েল রাষ্ট্র ধ্বংস করার জন্য ৫০০ মিলিয়ন ডলার হস্তান্তর করতে বলেছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দাবি, হামাস তাদের লক্ষ্য অর্জনের জন্য দুই বছর ধরে ইরানের কাছ থেকে প্রতি মাসে ২০ মিলিয়ন ডলার দাবি করেছে।
তিনি বলেন, চিঠিতে ইরানকে উদ্দেশ্য কেরে হামাস জানায়, ‘আমরা আত্মবিশ্বাসী যে এই দুই বছরের শেষে, অথবা এই সময়কালে, সৃষ্টিকর্তা ইচ্ছায় আমরা এই দানব রাষ্ট্রের মূলোৎপাটন করবো এবং আমাদের জাতির ইতিহাসের এই অন্ধকার সময়ের অবসান ঘটাবো।’
কাটজ বলেন, ‘ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্রের মালিক থেকে বিরত রাখার জন্য ইসরায়েল যথাসাধ্য চেষ্টা করবে। সেইসঙ্গে তাদের প্রক্সিদের পরাজিত না করা পর্যন্ত এই অঞ্চলে হামলা অব্যাহত থাকবে।’
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা থেকে ইসরাইলে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস যোদ্ধারা। হামলায় অন্তত এক হাজার ২০০ ইসরাইলি নিহত হন। সেইসঙ্গে দুই শতাধিক ব্যক্তিকে হামাস জিম্মি করে। সেইদিন থেকেই গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এরপর থেকে গাজায় নিহতের সংখ্যা ৫১ হাজার ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছেন লক্ষাধিক।
সাননিউজ/ইউকে