আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানের উত্তর ওয়াজিরিস্তানের সীমান্তবর্তী শহর গুলাম খান কালায় শহরে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে আফগান জঙ্গি কমান্ডার মুজিবুর রেহমান ওরফে মনসুরসহ ১৪ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।
সোমবার (৩ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় দেশটির সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ।
আরও পড়ুন: গাজায় যুদ্ধবিরতির পর মারা গেছে শতাধিক
নিহত আফগান কমান্ডার মনসুরের বাড়ি আফগানিস্তানের ময়দান ওয়ারদাক প্রদেশের দানদার গ্রামে। তার বাবার নাম মির্জা খান। তিনি আফগানিস্তানের সেনাবাহিনীর প্রধান শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল মিলিটারি অ্যাকাডেমির একজন ক্যাডেট ছিলেন। এদিকে, পাকিস্তানে আসার আগে আফগান সেনাবাহিনীর তৃতীয় ব্যাটালিয়নের একজন কমান্ডার ছিলেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের সেনা ও পুলিশ সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত এই অভিযানে গত শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) নিহত হয়েছেন এই ১৪ জন। এ সময় নিহতরা সবাই পাকিস্তানের নিষিদ্ধ কট্টরপন্থী রাজনৈতিক দল তেহরিক-ই তালিবানের (টিটিপি) সদস্য।
পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া আফগানিস্তানের ৩ টি সীমান্ত ক্রসিং রয়েছে। গুলাম খান কালায় সেই গুলোর মধ্যে একটি। আর বাকি দু’টির নাম তোখরাম এবং চমন। এ সময় প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, সীমান্ত ঐ অঞ্চলে টিটিপিকে সংগঠিত করতে মুজিবুর রেহমান ওরফে মনসুরকে নিয়ে আসা হয়েছিলো।
অপরদিকে, আফগানিস্তানের তালেবান বাহিনীর সমর্থনপুষ্ট দল টিটিপি দীর্ঘ একযুগেরও বেশি সময় ধরে পাকিস্তানে তাদের তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। এই দলটির মূল লক্ষ্য দেশটির জাতীয় ক্ষমতা দখল করা। এ সময় দেশটির পার্বত্য প্রদেশ খাইবার পাখতুনখোয়ার বিভিন্ন জেলা ও গ্রামগুলো টিটিপির প্রধান ঘাঁটি অঞ্চল। পাকিস্তানে প্রতি বছর যত সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে, সেই গুলোর অধিকাংশের জন্য দায়ী টিটিপি।
আরও পড়ুন: গঙ্গা চুক্তি নিয়ে কলকাতায় বাংলাদেশী প্রত...
অন্যদিকে, টিটিপিকে দমনে গত কয়েক বছর ধরে অভিযান চালাচ্ছে দেশটির সেনা-পুলিশ। এর আগে, গত (৩০ জানুয়ারি) খাইবার পাখতুনখোয়ার ডেরা ইসমাইল খান জেলায় বদরুদ্দিন নামের এক আফগান কমান্ডার নিহত হয়েছিলো। পাকিস্তানে আসার আগে আফগান সেনাবাহনীর একজন লেফটেন্যান্ট ছিলেন।
সান নিউজ/এমএইচ