আন্তর্জাতিক ডেস্ক : এক দিকে করোনা সংক্রমণ, অপর দিকে মন্দা অর্থনীতি। তার উপর নতুন করে যোগ হয়েছে প্রবল বন্যা। বিপদ যেন চীনের পিছুই ছাড়তে চাচ্ছে না।
এদিকে বন্যার প্রভাবে তীব্র খাদ্য সংকট মোকাবিলা করছে চীন। ইতিমধ্যেই করোনাভাইরাসের প্রকোপে শ্লথ হয়ে গেছে অর্থনীতির চাকা। ‘ফিনান্সিয়াল পোস্ট’ জানায়, বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে ভূখণ্ড নিয়ে বেইজিংয়ের দ্বন্দ্ব যখন ক্রমশ বাড়ছে, সে অবস্থায় খাদ্য নিরাপত্তা আর মন্থর অর্থনীতি, তিনে মিলে চীনের মহাশক্তি হয়ে ওঠার স্বপ্নকে আস্তে আস্তে গুঁড়িয়ে দিচ্ছে।
চীনের গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে জানা যায় যে, ইয়াংসি নদীর অববাহিকার এলাকাগুলো বন্যায় ডুবে যাওয়ায় গম, ধান, ভুট্টা ও অন্যান্য ফসলহানির কারণে ২৮টি প্রদেশের ৭ কোটি মানুষের কমপক্ষে ২৯০০ কোটি ডলারের ক্ষতি হয়েছে।
চীনের জরুরি ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা লি কুনগাং বলেন, শরৎকালে আরেকটি বন্যা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তিনি জানান, প্রধান তিনটি নদী এবারই প্রথম ফুঁসে উঠেছে। ১৯৯৮-এর পরে বন্যার এরকম তীব্রতা আর দেখা যায়নি। বিশ্বে গমের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎপাদক চীন (উৎপাদনের শীর্ষে ইউরোপীয় ইউনিয়ন)। সেই চীন ২০২০ সালের প্রথমার্ধে অনেক গম আমদানি করেছে। এ ছাড়া, যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করেছে বিপুল পরিমাণ ভুট্টা। পঙ্গপালের আক্রমণে ফসলহানির কারণে এ বছর ভুট্টা উৎপাদন আড়াই শতাংশ কমতে পারে বলে চীন সরকার জানায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মার্কিন বাজার থেকে সয়াবিন কিনছে চীন। এতেই আঁচ করা যায় দেশটি কীরকম খাদ্য সংকটে ভুগছে।
তবে চীনের খাদ্য নিরাপত্তা সমস্যার জন্য দায়ী আসলে খাদ্য অপচয়। দেশটি প্রতি বেলা মাথাপিছু ৯৩ গ্রাম খাদ্য নষ্ট করে। অর্থাৎ অপচয়ের হার ১১ দশমিক ৭ ভাগ।
সান নিউজ/ বিএম/এস