আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করে বলেন, ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) আয়ু আর মাত্র (২-৩) বছর আছে। এ সময় তার মতে, (২০২৭-২৯) সালের মধ্যে তাদের ক্ষমতা শেষ। ২০২৬ সালে আবার খেলা হবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
এছাড়া দেশটির আগামী বিধানসভা ভোটে ২ শতাধিক আসন পেতেই হবে বলেও দলীয় কর্মীদের বার্তা দিয়েছেন তিনি। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যটির পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচন আগামী বছর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনকে নিরাপত্তার দেবে না যুক্তরাষ্ট্র
কলকাতাভিত্তিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূলের মহাসমাবেশ ডেকেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর সকাল ১১টায় বৈঠক শুরু হয়। এই বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী বার্তা দেন, সেই দিকেই তাকিয়ে ছিলেন অনেকেই।
এ সময় অনেকের মতে, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে সংগঠনের সর্বস্তরে ‘ঝাঁকুনি’ দিতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে, দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে তার বার্তা, “আগামী বিধানসভা ভোটে ২১৫টা আসন আমাদের পেতেই হবে। অভিষেক ঠিকই বলেছে। আসন আরও বেশি পাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। ২১৫টা আসনের কম কোনও মতেই নয়। এবার বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএমের জামানত জব্দ করার পালা।”
এই দিন সভা থেকে বিজেপির কঠোর সমালোচনা করেন মমতা। এই সভায় তিনি অভিযোগ করে বলেন, পশ্চিমবঙ্গের বদনাম করার জন্য বিজেপি বারবার এজেন্সি পাঠাচ্ছে। তিনি বলেছেন, নির্বাচন যত এগিয়ে আসবে, বিজেপির এজেন্সির তৎপরতাও ততই বাড়বে। সকল মিডিয়াকে কন্ট্রোল করে। সবাইকে ইডি, সিবিআই, ইনকাম ট্যাক্স দেখিয়ে ভয় দেখানো হয়। ইলেকশন এলেই মনে পড়ে তৃণমূলের চার্জশিট দিতে হবে। তৃণমূলের কাকে কাকে চোর বলা হবে। কাকে কাকে জেলে ঢোকানো হবে।
আরও পড়ুন: ৪ ইসরায়েলির লাশ ফেরত দিল হামাস
এছাড়াও বিজেপির আয়ু নিয়েও ভবিষ্যদ্বাণী করেন মমতা। এ সময় তার দাবি, (২০২৭-২৯) সালের মধ্যে বিজেপির ক্ষমতা শেষ। তারপরে আর নেই। এর মধ্যেই ওরা বাংলাকে টার্গেট করবে।
মমতার দাবি, বাংলায় বিজেপির এজেন্সি পাঠিয়ে ভোটার তালিকায় কারচুপি করার চেষ্টা করছে। পাঞ্জাব-হরিয়ানার অনেক মানুষের নাম বাংলার ভোটার তালিকায় ঢোকানো হয়েছে। দিল্লি থেকে এই সকল করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের আশীর্বাদেই এই সকল করা হচ্ছে।
কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বাংলার ভোটার তালিকা পরিষ্কার করতে হবে। তার কথায়, ২০২৬ সালে আবার খেলা হবে। সেই কাজটা শুরু হবে এই ভোটার তালিকা পরিষ্কার করার মধ্যে দিয়ে। জেলা সভাপতিদের বলব, বুথ কর্মীদের মাঠে নামান। প্রয়োজনে নির্বাচনের কমিশনের দপ্তরে ধর্না দেব।
তিনি আরও বলেন, এই ভোটার লিস্ট ক্লিন করতে হবে। তা না হলে নির্বাচনের কোনও প্রয়োজন থাকবে না। আপনারা ভয় পাবেন না। একটা এজেন্সিকে দিয়ে অনলাইনে এই সব করানো হয়েছে। বাংলার লোক যাতে ভোট দিতে না পারে, তাই একই এপিক কার্ডে বাইরের লোকের নাম তুলেছে। তার মানে বাংলার লোক যখন ভোট দিতে যাবে, বাইরের ভোটারের নামে চলে যাবে। মুর্শিদাবাদের ভোটারগুলোকে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় নিয়ে আসবে। মুর্শিদাবাদের নেতারা সতর্ক থাকুন।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলি কারাগারে ৫৯ ফিলিস্তিনি বন্দির মৃত্যু
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতের মহারাষ্ট্র-দিল্লিতে ওরা বিজেপির খেলা ধরতে পারেনি। বাংলায় আমরা ধরব। আমরা এর যোগ্য জবাব দেব। ২০২৭-২০২৯ সালের মধ্যে বিজেপি শেষ হয়ে যাবে। বিজেপির আয়ু আরও ২-৩ বছর।
সান নিউজ/এমএইচ