আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আর্মেনিয়া-আজারবাইজান যুদ্ধ নয়দিন পেরিয়ে গেল। এখনও অধরা সমাধানসূত্র। ইরান সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।
এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে কার্যত যুদ্ধ চলছে আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজানের মধ্যে। জাতিসংঘ, রেডক্রস, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পরে এ বার শান্তিপূর্ণ আলোচনার আহ্বান জানালো ইরান। দুই দেশকে আলোচনার টেবিলে আনতে মধ্যস্থতার প্রস্তাবও দিয়েছে ইরান। অন্য দিকে আর্মেনিয়া জানিয়েছে, দুই দেশের সংঘাতে তুরস্কের ভূমিকা নিয়ে অ্যামেরিকার কাছে অভিযোগ জানানো হবে।
রোববারের পর সোমবারেও আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজান দুই তরফেই একাধিক সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। রোববার আর্মেনিয়া কামান দেগে ধ্বংস করেছিল আজারবাইজানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর গ্যাঞ্জার একাংশ। সোমবার তাদের গোলায় বিধ্বস্ত হয়েছে আজারবাইজানের আরেক শহর টারটার। অন্য দিকে, আর্মেনিয়াও জানিয়েছে, আজারবাইজানের আক্রমণে বিতর্কিত নাগর্নো-কারাবাখের রাজধানীর কার্যত ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত পাওয়া হিসেব অনুযায়ী নাগর্নো-কারবাখেই কমপক্ষে ২২০ জন যোদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। তাঁরা সকলেই আর্মেনিয়ার সেনার মদতে আজারবাইজানের বিরুদ্ধে লড়াই করছিলেন। এ ছাড়াও ৮২ জন সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আজারবাইজানে অন্তত ২৪ জন সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজান কোনও তরফই সেনা মৃত্যুর পরিসংখ্যান দেয়নি। বিশেষজ্ঞদের দাবি, এখনো পর্যন্ত প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ এই যুদ্ধে কমবেশি আহত হয়েছেন।
আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজান দুইটি দেশেরই সীমান্তে অবস্থিত ইরান। যুদ্ধ থামাতে এ বার ইরানও পদক্ষেপ নিয়েছে। দুইটি দেশকেই শান্তিপূর্ণ ভাবে বৈঠকে বসার আর্জি জানিয়েছে ইরান। কিন্তু তাতে এখনো পর্যন্ত কোনো দেশই সাড়া দেয়নি। ইরান জানিয়েছে, সীমান্তে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সবরকম চেষ্টা তারা করবে। অন্য দিকে তুরস্ক এখনো মদত দিচ্ছে আজারবাইজানকে। বস্তুত, আর্মেনিয়া জানিয়েছে, তুরস্কের ভূমিকা নিয়ে তারা অ্যামেরিকার কাছে অভিযোগ জানাবে। ডনাল্ড ট্রাম্প করোনা আক্রান্ত হওয়ায় এখনো পর্যন্ত এ বিষয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলা যায়নি।
সান নিউজ/এস