আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফিলিস্তিনের গাজায় ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে আরও ৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এদিকে, গাজার রাফাহতে ২ ফিলিস্তিনিকে হত্যাসহ পশ্চিম তীরে জাতিসংঘ পরিচালিত ৩ টি স্কুলে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) পৃথক দুটি প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনায় প্রস্তুত পুতিন
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার ধ্বংসস্তূপ থেকে স্বাস্থ্যকর্মী ও উদ্ধারকর্মীরা আরও ৬ জনের লাশ উদ্ধার করেছেন। এর ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা ৪৮,২৯১ জনে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি গোলাবর্ষণে ২৪ ঘণ্টায় ১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়াও আরও ১৩ জন আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এতে করে গাজায় মোট আহতের সংখ্যা ১,১১,৭২২ জনে পৌঁছৈছে। এ সময় অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় পড়ে থাকলেও উদ্ধারকারীদল তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।
অপরদিকে, গাজায় দীর্ঘ ১৫ মাসেরও বেশি সময়ের পর গত (১৯ জানুয়ারি) থেকে ফিলিস্তিনের গাজায় কার্যকর হয়েছে যুদ্ধবিরতি চুক্তি। এই চুক্তি কার্যকর হওয়ার পরেও
গাজার ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে উদ্ধার হচ্ছে একের পর এক লাশ। এতে ক্রমেই বড়েছে প্রাণহানির সংখ্যা।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডিয়ন সার জানিয়েছে, গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির ২য় ধাপের জন্য আলোচনা এই সপ্তাহে হবে। এছাড়াও হামাস বৃহস্পতিবার ৪ বন্দির লাশ হস্তান্তর করতে এবং শনিবার আরও ৬ জীবিত বন্দিকে মুক্তি দিতে সম্মত হয়েছে।
গাজায় গত ১৯ জানুয়ারি থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। তিন-পর্যায়ের এই যুদ্ধবিরতি চুক্তির মধ্যে বন্দি বিনিময় এবং স্থায়ী শান্তি, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহারের লক্ষ্যমাত্রাও রয়েছে।
মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব থাকা সত্ত্বেও ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছিল।
সান নিউজ/এমএইচ