সংগৃহীত ছবি
আন্তর্জাতিক

বন্দিদের মুক্তি না দিলে ফের যুদ্ধের হুমকি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরায়েল-হামাস সংঘাত নতুন মাত্রা ধারণ করছে। যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করায় শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ৩ জন ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে না জানিয়েছিলো হামাস। এরপর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তি না দিলে ফের গাজায় তীব্র অভিযান চালানো হবে। শনিবার দুপুরের মধ্যে ইসরায়েলি বন্দি নাগরিকদের মুক্তি দিতে হবে।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) তিনি এ কথা জানিয়েছেন। এদিকে, গাজার ধ্বংসস্তূপের পুনঃর্গঠনে বিপুল পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হবে।

আরও পড়ুন: গাজায় ধ্বংসস্তূপ থেকে আরও ৮ লাশ উদ্ধার

এর আগে, কথা ছিলো শনিবার ৩ জন ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দেবে হামাস। তবে নেতানিয়াহু এবার সমস্ত বন্দির মুক্তির কথা বলছেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
তার কথায়, শনিবার দুপুরের মধ্যে ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তি না দিলে ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স হামাসের উপর চরম হামলা চালাবে। এ সময় হামাসকে সম্পূর্ণ ধ্বংস না করা পর্যন্ত এই অভিযান বন্ধ হবে না।

তার এই বার্তা পাওয়ার পর ইসরায়েলের সেনা জানিয়েছে, গাজা সীমান্তে তারা ইতিমধ্যেই অতিরিক্ত বাহিনী পাঠিয়েছে। দেশটির রিজার্ভ ফোর্সকেও সেখানে পাঠানো হয়েছে। এ সময় নির্দেশ এলেই অভিযান শুরু হবে।

অপরদিকে, মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) জাতিসংঘের একটি সংস্থা জানিয়েছে, গাজাকে নতুন করে তৈরি করতে হলে সব কিছু মিলিয়ে মোট ৫৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ হবে। ১ম তিন বছরে খরচ হবে ২০ বিলিয়ন ডলার। এ সময় গাজায় ৬০ শতাংশ বাড়ি ধ্বংস হয়েছে বলে তারা জানিয়েছে। এই খরচের মধ্যে শুধুমাত্র নতুন করে বাড়ি বানাতেই লাগবে ১৫ বিলিয়ন ডলার। এই ভূখন্ডে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রতিষ্ঠানগুলিকে নতুন করে তৈরি করতে খরচ হবে আরো প্রায় ৭ বিলিয়ন ডলার। দেশটির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিকে নতুন করে গড়ে তুলতে খরচ হবে আড়াই বিলিয়ন। আর খেতগুলিকে ফের চাষযোগ্য করার জন্য খরচ হবে ৪ বিলিয়ন ডলার।

আরও পড়ুন: মধ্যপ্রাচ্যের হাসির পাত্র হয়ে উঠেছে ইসরায়েল

গাজার অধিবাসীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে মঙ্গলবার বৈঠক করেছেনে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এবং জর্ডানের রাজা ২য় আবদুল্লা। আমেরিকার হোয়াইট হাউসে এই বৈঠক হয়েছে। ট্রাম্পের অভিমত, গাজা স্ট্রিপকে খালি করে দেওয়া হোক। আমেরিকা ঐ এলাকার দায়িত্ব নেবে এবং জায়গাটিকে একটি পর্যটকস্থল হিসেবে ব্যবহার করা হবে। অন্যদিকে, গাজার অধিবাসীদের জর্ডান বা মিশরে থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। কিন্তু ১ম থেকেই জর্ডান ও মিশর এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করছেন।

মঙ্গলবারের এ বৈঠকেও জর্ডানের রাজা ২য় আবদুল্লা স্পষ্ট করে বলেছেন, কোনোভাবেই গাজার অধিবাসীদের জর্ডানে স্থায়ীভাবে থাকার ব্যবস্থা করা হবে না। তার বক্তব্য, গাজার মানুষ যাতে আবার শান্তিতে সেখানেই বসবাস করতে পারেন, তারই ব্যবস্থা করতে হবে। সেখান থেকে কোনোভাবেই তাদেরকে উৎখাত করা যাবে না।

আরও পড়ুন: গাজায় ধ্বংসস্তূপে মিলল ৭ লাশ

২-রাষ্ট্রের তত্ত্বের ভিত্তিতে গাজা সমস্যার সমাধান প্রয়োজন বলেও জানিয়েছেন তিনি। তিনি ট্রাম্পকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েচে, কোনোভাবেই জর্ডানে ফিলিস্তিনি অধিবাসীদের জন্য আলাদা থাকার জায়গা দেওয়া সম্ভব নয়।

সান নিউজ/এমএইচ

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

শহীদ মিনারে বিশৃঙ্খলা করলে ব্যবস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদক: ২১ ফেব্রুয়ারি &...

২২ ডিসিকে বাধ্যতামূলক অবসর

নিজস্ব প্রতিবেদক: আ’লীগের টানা দেড় দশকের শাসনামলে বিতর...

ব্যাটিং দিয়ে যাত্রা শুরু করল টাইগাররা

নিজস্ব প্রতিবেদক: দুবাই আন্তর্জাত...

চাকরি হারালেন ৬ শিক্ষানবিশ পুলিশ সুপার

জেলা প্রতিনিধি: রাজশাহী জেলার সার...

২৪ ঘণ্টায় গ্রেফতার ৪৯২

নিজস্ব প্রতিবেদক: সারাদেশে যৌথ বা...

মুন্সীগঞ্জে কবর থেকে কঙ্কাল চুরি 

মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি:

নিখোঁজের পর চালকের লাশ উদ্ধার

এস এম রেজাউল করিম, ঝালকাঠি প্রতিনিধি:

সংসদে হতে হবে সব সংস্কার: আমীর খসরু

সোলাইমান ইসলাম নিশান, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি...

ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ১৯৫১ মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীতে ট্রাফ...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা