আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলার পর ধ্বংসস্তূপ থেকে আরও ৮ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ৪৮ হাজারেরও বেশি ছাড়িয়ে গেছে।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
আরও পড়ুন: বাস উল্টে গুয়েতেমালায় নিহত ৫১
এদিকে, যুদ্ধবিরতির পরও গাজায় উদ্ধার কাজ অব্যাহত রয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও অনেক মানুষ আটকে থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্যকর্মী ও উদ্ধারকর্মীরা গাজা উপত্যকার ধ্বংসস্তূপের নিচে থেকে আরও ৮ জন ফিলিস্তিনির লাশ উদ্ধার করেছেন। এর ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা ৪৮,২১৯ জনে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানিয়েছে , গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি গোলাবর্ষণে ৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এই হামলায় আরও ১০ জন আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এতে করে আহতের মোট সংখ্যা ১,১১,৬৬৫ জনে পৌঁছৈছে। এ সময় অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় পড়ে থাকলেও উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।
এর আগে, গত (১৯ জানুয়ারি) থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। এতে ৩-পর্যায়ের এই যুদ্ধবিরতি চুক্তির মধ্যে বন্দি বিনিময় এবং স্থায়ী শান্তি, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহারের লক্ষ্যমাত্রাও রয়েছে।
মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব থাকা সত্ত্বেও ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছিলো।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানে পুতিনের সঙ্গে কথা হয়েছে
জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলি হামলায় গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছিলেন। এছাড়াও অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েল ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।
সান নিউজ/এমএইচ/ra