আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দীর্ঘ ১৫ মাসের বেশি সময় পর ফিলিস্তিনের গাজায় কার্যকর হয়েছে যুদ্ধবিরতি চুক্তি। এদিকে, গাজায় ইসরায়েলি হামলার পর ধ্বংসস্তূপ থেকে আরও ২২ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ৪৮,২০০ ছাড়িয়ে গেছে।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু। তবে এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে থেকে উদ্ধার হচ্ছে নিহতদের লাশ। ফলে ক্রমেই বাড়ছে নিহতের সংখ্যা।
আরও পড়ুন: মেক্সিকোতে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪১
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি হামলার পর স্বাস্থ্যকর্মী ও উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তূপের নিচে থেকে আরও ২২ জনের লাশ উদ্ধার করেছেন। এর ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এই উপত্যকায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা ৪৮,২০০ জনে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি গোলাবর্ষণে গত ৪৮ ঘণ্টায় ৪ জন মারা গেছেন এবং তারাও প্রাণহানির এই সংখ্যার মধ্যে রয়েছেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, এই হামলায় আরও ৬ জন আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এতে করে ইসরায়েলি আক্রমণে আহতের সংখ্যা ১,১১,৬৩৮ জনে পৌঁছৈছে। তবে অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় পড়ে থাকলেও উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।
অপরদিকে, গাজায় গত (১৯ জানুয়ারি) থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। এরপর থেকে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্যকর্মীরা ধ্বংসস্তূপের নিচে থেকে ৫৭২ জনের লাশ উদ্ধার করেছেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট, জাতিসংঘের অঙ্গীকার
৩ -পর্যায়ের এই যুদ্ধবিরতি চুক্তির মধ্যে বন্দি বিনিময় এবং স্থায়ী শান্তি, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহারের লক্ষ্যমাত্রাও রয়েছে। মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব থাকা সত্ত্বেও ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছিলো।
জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় (৮৫ শতাংশ) ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছিলেন। এছাড়াও এই ভূখণ্ডের (৬০ শতাংশ) অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েল ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।
সান নিউজ/এমএইচ