আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আর্মেনিয়ার দখল থেকে কারাবাখের ২২ এলাকা মুক্ত করেছে আজারবাইজানের সেনাবাহিনী সোমবার (৫ অক্টোবর) তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ খবর জানিয়েছে।
বিতর্কিত নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে প্রতিবেশী দুই দেশ আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান যুদ্ধে জাড়িয়ে পড়ে। আর্মেনিয়ার বাহিনী আজারবাইজানের বসতি ও সামরিক ঘাঁটিতে হামলা করলে দুই দেশ ভয়াবহ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে।
আঙ্কারার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আজারবাইজানের বিশ্বস্ত সূত্রের তথ্য মতে সর্বমোট ২২ অধিকৃত বসতি মুক্ত করেছে বাকু। তাদের অধিকৃত অঞ্চলগুলো পুনঃদাবি করে আজারবাইজানের সেনাবাহিনী অভিযান পরিচালনা করছে।
আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটির বেলাগান, বারডা, টার্টার শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে আর্মেনিয়া।
এদিকে, আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিইয়েভ আর্মেনিয়ার সঙ্গে যুদ্ধবিরতির জন্য সেনা প্রত্যাহারের সময়সীমাসহ কিছু শর্ত আরোপ করেছেন।
রোববার (৪ অক্টোবর) জাতির উদ্দেশে দেওয়া অগ্নিভাষণে আলিইয়েভ সতর্ক করে বলেন, আর্মেনীয় নেতার আগেই ভাবা উচিত ছিল। এখন অনেক দেরি হয়ে গেছে। আমাদের এলাকা অবশ্যই ছেড়ে যেতে হবে। ইয়েরেভানকে আজারবাইজানের আঞ্চলিক অখণ্ডতার কথা স্বীকার করতে হবে। যে অঞ্চল নিয়ে যুদ্ধ চলছে সেটি আর্মেনিয়ার অংশ নয় স্বীকার করতে হবে।’
আলিইয়েভ আরও বলেন, ‘নাগরনো-কারাবাখ আমাদের ভূমি। আমাদের সেখানে ফিরতে হবে এবং আমরা এখনই তা করছি। এটিই শেষ। আমরা তাদের দেখিয়েছি আমরা কী। আমরা তাদের কুকুরের মতো তাড়া করছি।’
নাগোরনো-কারাবাখ আজারবাইজানের ভেতরে হলেও আর্মেনীয় নৃগোষ্ঠীর লোকজন অঞ্চলটি নিয়ন্ত্রণ করে আসছে, আর্মেনিয়া তাদের সমর্থন দিচ্ছে। ১৯৮৮-৯৪ সাল পর্যন্ত যুদ্ধের মধ্য দিয়ে অঞ্চলটি আজারবাইজান থেকে বিচ্ছিন্ন হলেও স্বাধীন দেশ হিসেবে এখনো কারও স্বীকৃতি পায়নি।
সান নিউজ/ বিএম/এস