আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের সব ধরনের বৈদেশিক সহায়তা কর্মসূচি বন্ধ করে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার শপথ নেওয়ার পর নির্বাহী এক আদেশ জারির মাধ্যমে এই সহায়তা কর্মসূচি আগামী ৯০ দিনের জন্য বন্ধ করেন তিনি।
আরও পড়ুন : আমেরিকার শত্রুদের পরাজিত করাই মূল লক্ষ্য
সোমবার (২০ জানুয়ারি) মার্কিন ক্যাপিটল ভবনে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। শপথ নেওয়ার পর নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষরের ঝড় বইয়ে দেন তিনি। মেক্সিকো সীমান্তে জরুরি অবস্থা ঘোষণা, পানামা খাল ফেরত, বিদেশি পণ্যের আমদানিতে শুল্ক বৃদ্ধি-সহ কয়েক ডজন নির্বাহী আদেশ স্বাক্ষর করেছেন ট্রাম্প।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, তারা প্রায়ই আমেরিকান স্বার্থ এবং মূল্যবোধের বিরোধিতা করে। এই ধরনের কর্মসূচি বিদেশে এমন সব ধারণার প্রচার করে; যা বিশ্ব শান্তিকে অস্থিতিশীল করে তোলে। এটি অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক স্থিতিশীল সম্পর্কের ক্ষেত্রেও বিরোধপূর্ণ।
আরও পড়ুন : প্রতিশ্রুতি রাখলেন ট্রাম্প
প্রেসিডেন্টের পররাষ্ট্রনীতির উদ্দেশ্যগুলোর সঙ্গে একেবারে মিল না থাকলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোনও বৈদেশিক সহায়তা প্রদান করবে না বলেও ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প। তবে গত সপ্তাহে সিনেটের পররাষ্ট্র সম্পর্ক বিষয়ক কমিটিতে শুনানির সময় দেশটির নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ৩টি মূল প্রশ্নকে সামনে রেখে কর্মসূচির ন্যায্যতা দেওয়ার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছিলেন।
ট্রাম্প বলেছিলেন, এই সহায়তা কর্মসূচি কি আমেরিকাকে নিরাপদ করে তোলে? এটি কি আমেরিকাকে আরও শক্তিশালী করে তোলে? এটি কি আমেরিকাকে আরও বেশি সমৃদ্ধ করে তোলে?
আরও পড়ুন : মহানবীকে অবমাননায় পপ তারকার মৃত্যুদণ্ড
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল বাজেটের প্রায় এক শতাংশই যায় বৈদেশিক সহায়তা কর্মসূচি তহবিলে। ডোনাল্ড ট্রাম্প ধারাবাহিকভাবে এই বিদেশি সহায়তার সমালোচনা করছেন। যদিও রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের যুদ্ধে কিয়েভে বিশাল পরিমানের সামরিক সহায়তা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে রাশিয়ার আগ্রাসন থেকে ইউক্রেনকে রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের পাঠানো সহায়তার পরিমাণ সম্পর্কেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি।
সান নিউজ/এমআর