আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘ ৭ মাস বন্ধ থাকার পর অবশেষে ওমরাহ চালু করেছে সৌদি আরব। রোববার (০৪ অক্টোবর) সকাল থেকে মক্কার মসজিদুল হারাম ওমরাহ পালনকারীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। একই দিনে মক্কা ও মদিনার পবিত্র স্থানগুলো খুলে দেয়া হবে। সংবাদটি প্রকাশ করেছে খালিজ টাইমস।
রোববার (০৪ অক্টোবর) সৌদি আরব মক্কা নগরীতে ওমরাহ পালনকারীদের স্বাগত জানিয়েছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ রুখতে কড়া স্বাস্থ্যবিধি মেনেই চলছে ওমরাহ কার্যক্রম।
পবিত্র কাবা চত্বরে রং দিয়ে সীমানা আঁকা হয়েছে। সেই সীমানার মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কাবা প্রদক্ষিণ করবেন ওমরাহ পালনকারীরা। এর মাধ্যমে করোনাভাইরাস মহামারির পর নতুন করে মুসলিমদের স্বাগত জানানোর কাজ শুরু করলো সৌদি।
করোনা রুখতে সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রতিটি স্থান জীবাণুমুক্ত করা হয়েছে এবং ধারাবাহিকভাবে সেটি করা হবে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ওমরাহ পালনকারীদের সাহায্য করতে একটি বিশেষ দল নিয়োগ করেছে সৌদি সরকার।
প্রতি বছর বিশ্বের লাখ লাখ মুসলমান ওমরাহ পালন করে থাকেন। কিন্তু করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে তা বন্ধ ছিল। ওমরাহ পালনের বিষয়টি তিন ধাপে সম্পন্ন হবে। প্রথম ধাপে থাকবে শুধু সৌদি আরবে বসবাসরত নাগরিকেদর ওমরাহ পালনের সুযোগ। এ সময় প্রতিদিন ছয় হাজার মানুষ ওমরাহ পালনের সুযোগ পাবেন।
সৌদি আরবের হজ বিষয়ক মন্ত্রী মোহাম্মদ বেনতেন রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে জানিয়েছেন, প্রথম পর্যায়ে খুবই সতর্কতার সঙ্গে এবং সুনির্দিষ্ট সময়ের ভেতরে ওমরাহ পালন করা হবে।
তিনি জানান, ওমরাহ পালনকারীদেরকে কয়েকটি গ্রুপে বিভক্ত করা হবে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই ওমরাহ পালনকারীদেরকে পবিত্র কাবা তাওয়াফ করতে হবে।
আগামী ১৮ অক্টোবর থেকে প্রতিদিন ওমরাহ পালনকারীর সংখ্যা ১৫ হাজারে বাড়ানো হবে এবং সর্বোচ্চ ৪০ হাজার মানুষকে কাবা শরিফে নামাজ আদায় করতে দেয়া হবে।
এরপরে ১ নভেম্বর থেকে বিদেশি নাগরিকদের ওমরাহ পালনের সুযোগ দেয়া হবে। এ সময় থেকে প্রতিদিন ২০ হাজার মানুষ ওমরাহ পালন করতে পারবেন এবং মসজিদের ভেতরে ৬০ হাজার মানুষকে নামাজ পড়ার অনুমতি দেয়া হবে।
সাননিউজ/আরএইচ