আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং মারা গেলেন। মৃত্যুকালীন সময় তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় রাত ১০ টায় নয়াদিল্লির একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এর আগে, সাড়ে ৮ টায় গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৫০
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী “মনমোহন সিং” দীর্ঘ দিন ধরে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন। এ সময় গতকাল বাড়িতে হঠাৎ অচেতন হয়ে পড়লে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এরপর রাত সাড়ে ৮ টার দিকে তাঁকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়। পরে রাত ৯.৫১ মি. কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ২০০৪-১৪ সাল পর্যন্ত টানা ২ মেয়াদে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। এ সময় চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার সদস্য ছিলেন তিনি।
কয়েক মাস ধরে তিনি বার্ধক্যজনিত নানা অসুস্থতায় ভুগছিলেন। এদিকে, তার পরিবারে তিনি স্ত্রীসহ ৩ মেয়ে রেখে গেছেন।
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৃহস্পতিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে মোদি লিখেন, ভারতের সবচেয়ে সম্মানিত নেতাদের ১ জনকে হারিয়ে শোকাহত দেশ।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ভূপাতিত হয...
অপরদিকে, কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকের কারণে বৃহস্পতিবার ভারতের কর্ণাটকে অবস্থান করছিলেন দলটির নেতা রাহুল গান্ধী। তিনি মনমোহন সিংয়ের মৃত্যুতে শোক জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে লিখেছেন, ‘প্রজ্ঞা ও সততার সাথে ভারতকে নেতৃত্ব দিয়েছেন মনমোহন সিং। তাঁর এই মৃত্যুতে আমি ১ জন মেন্টরকে হারালাম।’
অন্যদিকে, দেশটির পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক শোকবার্তায় লিখেন, ‘ ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত। তাঁর পাণ্ডিত্য ও প্রজ্ঞা ছিলো প্রশ্নাতীত।’
প্রসঙ্গত, মনমোহন সিংয়ের জন্ম ১৯৩২ সালের (২৬ সেপ্টেম্বর) বর্তমান পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের চকওয়াল জেলায়। ১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান ভাগের সময় তিনি ও তাঁর পরিবারের সাথে ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের অমৃতসরে আসেন। এরপর তিনি পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫২ সালে স্নাতক ও ১৯৫৪ সালে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। পরে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর ডিগ্রি নেন।
সান নিউজ/এমএইচ