আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়ায় তাকে ককটেল অ্যান্টিবডি থেরাপি দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অণুজীব বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল।
শনিবার (০৩ অক্টোবর) রাতে সাংবাদিক গোলাম মোর্তজার সঙ্গে ফেসবুক এক লাইভে এ কথা জানান তিনি।
ড. বিজন কুমার শীল বলেন, 'আমি সিঙ্গাপুরে আসার পর বর্তমানে যেহেতু কোয়ারেন্টাইনে আছি, তাই পড়াশোনা, লেখালেখির পাশাপাশি টেলিভিশন দেখার সুযোগ পাচ্ছি। যে সুযোগ আমি বাংলাদেশে থাকতে ব্যস্ততার কারণে পাইনি। টেলিভিশনের খবরে দেখলাম আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। তখন আমি আমার ফেসবুকে একটা পোস্ট দেই, ট্রাম্পের জন্য বেস্ট চিকিৎসা হবে অ্যান্টিবডি থেরাপি। তার পরে দেখি তাকে সেই অ্যান্টিবডি থেরাপিই দেয়া হচ্ছে।'
তিনি আরও বলেন, 'করোনা আক্রান্ত আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ককটেল অ্যান্টিবডি থেরাপি দেওয়া হচ্ছে। ককটেল অ্যান্টিবডি থেরাপি এবং প্লাজমা থেরাপির পার্থক্য হচ্ছে, দুটির মূল কম্পোনেন্ট কিন্তু এক। প্লাজমাতেও যে নিউট্রালাইজ অ্যান্টিবডি রয়েছে, ককটেলেও সেই একই অ্যান্টিবডি থাকে।
'ককটেল অ্যান্টিবডি থেরাপি বলা হচ্ছে এই কারণে যে হিউম্যান এবং মাউসের অ্যান্টিবডি একত্র করে এটা বানানো হয়। ককটেল অ্যান্টিবডি থেরাপিতে করোনাভাইরাসকে সরাসরি আক্রমণ করে তার ডোমেইনকে ভেঙে দেওয়া হয়। ফলে তার শরীরে ভাইরাসের মাল্টিফিকেশন রেট কমে আসবে এবং তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন।'
বাংলাদেশে ককটেল অ্যান্টিবডি তৈরি করা সম্ভব কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ড. বিজন কুমার শীল জানান, 'বাংলাদেশে এটা করতে সময় লাগবে, তবে এটা করার মতো লোক রয়েছে। আমি যখন ১৯৮৮ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত পিএইচডি করি, আমার মূল থিসিস ছিল মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি। সেই কনসেপ্ট থেকেই ককটেল অ্যান্টিবডি তৈরি করা হয়েছে। এটা কোনো বিষয় না, আমি নিজেও এটা তৈরি করতে পারব। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ল্যাবরোট্রিতে নিঃসন্দেহে এটা তৈরি করার পরিবেশ রয়েছে। গণস্বাস্থের ল্যাবে যে ফ্যাসিলিটি আছে, সেখানেই এটা করা সম্ভব, এটা খুব কঠিন কিছু না। এই বিষয়টা আমি খুব ভালো করেই জানি।'
সাননিউজ/আরএইচ