আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফিলিস্তিনের গাজা ভূখন্ডে নিঃশর্ত এবং স্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস করেছে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ। এ সময় ইউএনআরডব্লিউএ’র সমর্থনেও আলাদা প্রস্তাব পাস হয়েছে। পরে ইসরায়েল আইন করে এ সংগঠনকে তাদের দেশে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে পাস হওয়া ঐ প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে অবিলম্বে নিঃশর্ত ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করতে হবে। এ সময় কর্মকর্তাদের মতে, গত ১ বছরের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধের ফলে গাজায় ৪৪ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার বক্তব্যকে সমর্থন করে না ভারত
বুধবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ভোটাভুটিতে এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় ১৫৮টি দেশ। এর বিপক্ষে ভোট পড়ে মোট ৯টি। আর ১৩টি দেশ এই ভোটদান থেকে বিরত ছিলো। এই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনের গাজা ভূখন্ডে অবিলম্বে নিঃশর্তে, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করতে হবে। এ সময় বন্দিদের নিঃশর্তে মুক্তি দিতে হবে।
এই দিন সাধারণ পরিষদে আরও একটি প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। সেখানে ফিলিস্তানে উদ্বাস্তুদের নিয়ে জাতিসংঘের সংগঠন ইউএনআরডব্লিউএ নিয়ে এই প্রস্তাবের পক্ষে ১৫৯টি দেশ ভোট দেয়, ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র-সহ ৭টি দেশ এর বিরুদ্ধে ভোট দেয়। এতে ১১টি দেশ ভোটদানে বিরত থাকে।
এই প্রস্তাবে ইউএনআরডব্লিউএ নিয়ে ইসরায়েলের এই আইনের নিন্দা করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ইসরায়েল যেন ইউএনআরডব্লিউএ-কে যথাযোগ্য মর্যাদা দেয় এবং তাদের কাজে যেন কোনও বাধা না দেয়।
প্রস্তাব পাস করার আগে জাতিসংঘের সকল সদস্য দেশগুলোর অনেকেই তাদের নিজ নিজ ভাষণে ফিলিস্তিনকে সমর্থন জানায়।
জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের দূত রিয়াদ মানসুর জানান, ফিলিস্তিনের গাজা এখন মানব পরিবারের যন্ত্রণার ক্ষতচিহ্ন হয়ে আছে। স্লোভেনিয়ার দূত বলেন, গাজা এখন আর নেই। এটিকে ধ্বংস করা হয়েছে। আলজেরিয়ার ডেপুটি অ্যাম্বাসেডার জানান, ফিলিস্তিনের গাজার দুরবস্থা নিয়ে চুপ করে থাকার জন্য বড় মূল্য দিতে হবে।
আরও পড়ুন: আটক জেলেদের ফেরত পাঠাবে ভারত
অবশ্য এই প্রস্তাবটিকে প্রতীকী মনোভাব বলে মনে করা হচ্ছে, কারণ ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্র তা খরিজ করে দিয়েছে। আর এই প্রস্তাব মানার কোনও আইনি বাধ্যবাধকতাও ইসরায়েলের ওপর নেই।
তবে রাজনৈতিক দিক থেকে দেখতে গেলে এর চাপ আছে। কারণ, এতগুলো দেশ যখন কোনও একটি প্রস্তাবে সায় দেয়, তখন তাকে গ্লোবাল ওপিনিয়নের প্রকাশ বলে মনে করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্য ছিলো, গাজায় পণবন্দিদের মুক্ত করার শর্তে যুদ্ধবিরতি হতে পারে তা না হলে হামাস ঐ বন্দিদের মুক্তি দেবে না। এদিকে, আমেরিকার ডেপুটি অ্যাম্বাসেডর রবার্ট উড বলেন, “প্রস্তাবের ভাষা ভুল ও লজ্জাজনক।”
সান নিউজ/এমএইচ