আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর দারা’র দখল নিয়েছে বিদ্রোহীরা। ২০১১ সালে এই শহর থেকেই সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে উৎখাতের আন্দোলন শুরু হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করলো ইয়েমেন
গত ৩০ নভেম্বর অভিযান শুরুর পর থেকে ইতোমধ্যে দেইর আল জোর, হামা এবং আলেপ্পোর নিয়ন্ত্রণ চলে গেছে তাদের হাতে।
সিরিয়া দখলের অভিযানে নামা এই বিদ্রোহীরা মূলত সিরিয়ার বিভিন্ন সুন্নিপন্থি জঙ্গিগোষ্ঠীর সদস্য ও যোদ্ধা। বিদ্রোহীদের দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছে হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) নামের একটি জঙ্গিগোষ্ঠী।
হায়াত তাহরির-আল-শাম পুরোনো একটি দল। এটি ২০১১ সালে জাবহাত আল-নুসরা নামে আত্মপ্রকাশ করেছিল। দলটির সঙ্গে আল কায়েদার সরাসরি সংযোগ ছিল।
বিদ্রোহীদের একাধিক সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, সিরিয়ার সেনাবাহিনীর দারা ইউনিটের সঙ্গে একটি সমঝোতায় পৌঁছায় বিদ্রোহীরা। সমঝোতার শর্ত ছিল, সেনাবাহিনী বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর কাছে দারা’র নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দেয়, তাহলে সেনা কর্মকর্তা ও সদস্যদের নিরাপদে শহর ছাড়ার সুযোগ দেবে বিদ্রোহীরা।
আরও পড়ুন: ক্ষমা চাইলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট
সেনা সদস্যরা সেই শর্ত মেনে নিয়ে দারা থেকে রাজধানী দামেস্কের পথে রওনা দেন। দামেস্ক থেকে দারা’র দূরত্ব প্রায় ১০০ কিলোমিটার।
গৃহযুদ্ধের এক পর্যায়ে সিরিয়া এবং সীমান্তবর্তী অপর দেশ ইরাকের বিশাল এলাকা জুড়ে নিজেদের রাজ্যও গঠন করে আইএস। সিরিয়ার রাক্কা শহর ছিল সেই রাজ্যের রাজধানী।
বিদ্রোহে নেতৃত্ব দেওয়া জঙ্গিগোষ্ঠী এইচটিএসের শীর্ষ নেতা আবু মোহাম্মেদ আল গোলানি সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম দ্য নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ প্রসঙ্গে বলেছেন, “আমাদের এবারের অভিযানের লক্ষ্য শত্রুকে পুরোপুরি শেষ করা। সূত্র : রয়টার্স
সান নিউজ/এএন