আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারির ঘটনায় জাতির কাছে ক্ষমা চাইলেন প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল।
আরও পড়ুন: গাজায় নিহত ছাড়াল ৪৪ হাজার ৬০০
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে তিনি ক্ষমা চেয়েছেন।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দ.কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট এমন সময়ে জনগণের কাছে ক্ষমা চাইলেন, যখন ক্ষমতা ছাড়ার জন্য তার ওপর চাপ বাড়ছে।
জাতির উদ্দেশে দেওয়া টেলিভিশন ভাষণে দেশটিতে সামরিক আইন জারির ঘোষণার বিষয়ে তিনি বলেন, দ.কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে অনেকটা মরিয়া হয়ে আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। তবে এটি জনগণের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছিল। তাদেরকে অসুবিধায় ফেলেছিল। এই জন্য আমি খুবই দুঃখিত এবং আপনাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।
প্রেসিডেন্ট বলেন, আমি এই ঘোষণার কারণে সৃষ্ট আইনি এবং রাজনৈতিক দায়বদ্ধতার সমস্যা এড়াতে পারব না।
আরও পড়ুন: ভূমিকম্পে কাঁপল ইরান
তিনি বলেন, মানুষ ভাবছে, আবার সামরিক আইন ঘোষণা করা হবে কিনা! তবে আমি স্পষ্টভাবে বলতে পারি, অবশ্যই হবে না। সামরিক আইন ঘোষণা হবে না। দেশকে কীভাবে স্থিতিশীল করা যায়, তার সিদ্ধান্ত আমি আমার দলের ওপর ছেড়ে দেব। এর মধ্যে আমার মেয়াদের বিষয়টিও রয়েছে।
প্রেসিডেন্ট বলেন, দেশের ভবিষ্যত পরিচালনার জন্য আমার দল এবং সরকার দায়ী থাকবে। আমি আমার মাথা নত করছি এবং জনগণের উদ্বেগের জন্য আমি আবারও ক্ষমাপ্রার্থী।
এশিয়ার গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে পরিচিত দক্ষিণ কোরিয়ায় গত ৫০ বছরের মধ্যে গত মঙ্গলবার প্রথম মার্শাল ল বা সামরিক আইন জারি করা হলে তাতে হতবাক হন দেশটির মানুষ।
ইউন সুক ইওল সেদিন রাতে এক টেলিভিশন ঘোষণায় ‘রাষ্ট্র বিরোধী শক্তি’ এবং উত্তর কোরিয়ার হুমকির কথা উল্লেখ করে সামরিক আইন জারির ঘোষণা দিয়েছিলেন। তবে এর কিছুক্ষণ পরই পরিষ্কার হয়ে যায় যে- কোনো বিদেশি হুমকি নয়, বরং তার নিজের রাজনৈতিক সংকটের কারণেই তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
উল্লেখ্য, সেদিন রাতেই প্রেসিডেন্টের সামরিক আইন জারির ঘোষণার বিরুদ্ধে অবস্থান নেন আইনপ্রণেতারা। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বিক্ষোভের মুখে সামরিক আইন জারির ঘোষণা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন প্রেসিডেন্ট।
সান নিউজ/এএন