আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাশিয়ার পুতিন সরকারের হয়রানির শিকার এক সাংবাদিক নিজের শরীরে আগুন দিয়ে আত্মাহুতি দিয়েছেন। শুক্রবার দেশটির নিজনি নভগোরড শহরের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের আঞ্চলিক দপ্তরের সামনে গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন সাংবাদিক ইরিনা স্লাবিনা। এ সময় এক ব্যক্তি নিজের কোট দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেন ইরিনা। এক পর্যায়ে তিনি মাটিতে পড়ে যান। পরবর্তীতে মারাত্মক দগ্ধ অবস্থায় তার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। খবর আল জাজিরার।
তিনি ‘খোজা প্রেস’ নামে একটি স্থানীয় পত্রিকার ‘এডিটর ইন চিফ’ ছিলেন। পত্রিকারটির মূলনীতি ছিল ‘নো সেনসরশীপ, নো অর্ডার ফর্ম অ্যাভোব’ (উপর থেকে কারো নির্দেশ নয়)। মৃত্যুর আগে নিজের ফেসবুক পেইজে করা এক পোস্টে তার এই অস্বাভাবিক মৃত্যুর জন্য তিনি ‘রাশিয়ান ফেডারেশন’কে দায়ী করেছেন। মৃত্যুর একদিন আগেও ইরিনা ফেসবুকে একটি পোষ্ট দিয়েছিলেন। যেখানে তিনি লিখেছিলেন, ‘আমার বাসায় পুলিশ তল্লাশি চালিয়েছে। তারা আমার ল্যাপটক, নোটবুক, এবং আমার মেয়ে ও স্বামীর মোবাইল ফোনসহ ল্যাপটপ নিয়ে গেছে।’ তিনি আরো লিখেন, ‘পুলিশ মূলত আমার বাসায় লিফলেট, বাউছার এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্টের কাগজপত্র খুজঁছিল।’
রাশিয়ার তদন্ত কমিটি ইতোমধ্যে আত্মহত্যার বিষয়ে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে। তাদের দাবি, ‘পুলিশি তল্লাসীর সঙ্গে তার মৃত্যুর কোন যোগসূত্র নেই।’ এদিকে পুতিন সরকারের বিরোধীরা বলছে, ‘স্লাবিনা বিভিন্ন বিষয়ে সরকারের চাপে ছিল। তার সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য বিগত কয়ক বছর ধরে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাকে নানাভাবে হেনস্তা করে আসছিলো।’
সান নিউজ/পিডিকে/এস