আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মালয়েশিয়া এবং থাইল্যান্ডে ভারী বর্ষণে সৃষ্ট বন্যায় ১২ জন নিহত হয়েছে। ২ দেশের কর্মকর্তারা জানায়, ভয়াবহ বন্যার কারণে হাজার হাজার মানুষ তাদের নিজ নিজ ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
এ বন্যায় উত্তর মালয়েশিয়ার কেলান্তান রাজ্যে সব থেকে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ সময় সেখানে ১ লাখ ২২ হাজারেরও বেশি মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে। এদিকে দক্ষিণ থাইল্যান্ডেও প্রায় ১৩ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: নাইজেরিয়ায় নৌকা ডুবে ২৭ জনের মৃত্যু
মালয়েশিয়ার আবহাওয়া বিভাগ জানায়, মালয়েশিয়ার কিছু অঞ্চলে রোববার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।
একই ভাবে থাইল্যান্ডের আবহাওয়া বিভাগ জানায়, থাইল্যান্ডে আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
অপরদিকে, উভয় দেশে জরুরি সেবার সদস্যরা উদ্ধার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। এ সময় আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নেওয়া মানুষদের জন্য খাদ্য ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে থাইল্যান্ডের সাটেং নক জেলায় একটি বাড়ির ছাদ থেকে ১ শিশুকে উদ্ধার করার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তারা জানায়, থাইল্যান্ডের প্রায় ৫ লাখ ৩৪ হাজার পরিবার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ক্ষতির আশঙ্কায় অন্তত ২ টি হাসপাতাল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ১০০
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পায়েতংতার্ন শিনাওয়াত্রা ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি প্রদেশের জন্য ৫ কোটি বাথ বরাদ্দ করেছেন। তিনি বলেন, যত দ্রুত সম্ভব এই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।
সান নিউজ/এমএইচ