আন্তর্জাতিক ডেস্ক : উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি সামরিক হস্তক্ষেপের ফলে ইউক্রেন দূরপাল্লার অস্ত্রের ব্যবহার করছে। এই অস্ত্রের ব্যবহারে আত্মরক্ষার জন্য রাশিয়ার লড়াইয়ের অধিকার রয়েছে।
আরও পড়ুন : সিরিয়ায় সেনা ও বিদ্রোহীদের লড়াইয়ে নিহত ২০০
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী আন্দ্রেই বেলোসোভের সঙ্গে বৈঠকে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন এ কথা বলেন।
বার্তা সংস্থা কেসিএনএর প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী আন্দ্রেই বেলোসোভের সঙ্গে বৈঠক করেছেন কিম জং উন। বৈঠকে তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমারা কিয়েভ কর্তৃপক্ষকে নিজেদের দূরপাল্লার আঘাত হানতে সক্ষম অস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার ভূখণ্ডে হামলা চালাতে বাধ্য করেছে। এখন শত্রু পক্ষকে মূল্য দেওয়ার মতো পদক্ষেপ নেওয়া উচিত মস্কোর।
আরও পড়ুন : গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ১০০
বৈঠকে কিম জং উন বলেন, ‘‘আধিপত্য বিস্তারের জন্য সাম্রাজ্যবাদীদের নেওয়া পদক্ষেপ থেকে নিজ সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় উত্তর কোরিয়ার সরকার, সেনাবাহিনী এবং জনগণ সর্বদা রুশ ফেডারেশনের নীতিকে সমর্থন করবে।’’
গত জুনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে বৈঠকে কিম জং উন যে ব্যাপক কৌশলগত অংশীদারত্ব চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিলেন তার আওতায় সামরিকসহ সকল ক্ষেত্রে রাশিয়ার সাথে সম্পর্ক সম্প্রসারণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা। ওই সময় দুই দেশের মাঝে একটি পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর হয়।
আরও পড়ুন : সিরিয়ায় সেনা ও বিদ্রোহীদের লড়াইয়ে নিহত ২০০
গত বছরের সেপ্টেম্বরে রাশিয়ায় উভয় দেশের নেতাদের শীর্ষ বৈঠকের পর থেকে নাটকীয়ভাবে উন্নত সম্পর্ক গড়ে তুলেছে মস্কো এবং পিয়ংইয়ং। দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ওই বৈঠকের পর রাশিয়ায় ১০ হাজারেরও বেশি গোলাবারুদের কন্টেইনারের পাশাপাশি স্ব-চালিত হাউইটজার এবং একাধিক রকেট লঞ্চার পাঠিয়েছে উত্তর কোরিয়া।
সম্প্রতি ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার পক্ষে লড়াইয়ের জন্য উত্তর কোরিয়া ১০ হাজার সৈন্য মস্কোতে পাঠিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে পশ্চিমা বিভিন্ন দেশ। রাশিয়ায় উত্তর কোরিয়ার এই সৈন্য পাঠানোর বিষয়ে কিম-বেলোসোভের মাঝে কোনও আলোচনা হয়েছে কি না, সেই বিষয়ে কোনও তথ্য জানায়নি কেসিএনএ।
সান নিউজ/এমআর